প্রতীকী ছবি।
পরিবেশ আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী জঙ্গলে গড়ে ওঠা লজ, হোটেল ও রেস্তোরাঁ বন্ধ করার জন্য নোটিস দিতে শুরু করল বন দফতর। বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের উপ-ক্ষেত্র অধিকর্তা (পশ্চিম) কল্যাণ রাই জানান, ইতিমধ্যেই রাজাভাতখাওয়া-সহ বিভিন্ন এলাকায় ১৭টি লজ, হোটেল ও রেস্তোরাঁকে নোটিস দেওয়া হয়েছে। পরিবেশ আদালতের নির্দেশ মোতাবেক অবিলম্বে সেগুলি বন্ধ করতে বলা হয়েছে। উপ-ক্ষেত্র অধিকর্তা (পূর্ব) প্রদীপ বাউরি জানান, জয়ন্তী, বক্সা পাহাড়-সহ বিভিন্ন এলাকায় ৫২টি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানকে নোটিস দেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: অবসাদের তিমি দমনে স্কুলে এ বার মনোবিদ
পরিবেশ সংক্রান্ত নিয়ম না মেনে গড়ে ওঠা ওই প্রতিষ্ঠানগুলির বিরুদ্ধে বছর দুয়েক আগে পরিবেশবিদ সুভাষ দত্ত মামলা করেছিলেন। সম্প্রতি জাতীয় পরিবেশ আদালত বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পে সরকারি ও বেসরকারি বিভিন্ন লজ হোটেল বন্ধের নির্দেশ দেয়। কল্যাণবাবু বলেন, ‘‘আমাদের ১৩ অক্টোবরের মধ্যে একটি রিপোর্ট পেশ করতে হবে। সরকারি বাংলো বা লজগুলিতে বুকিং বন্ধ রাখা হয়েছে।’’ বন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, নিমতি, বক্সা, জয়ন্তীর বিভিন্ন সরকারি লজ ও বাংলোগুলিও আদালতের নির্দেশে বন্ধ হয়ে যাবে। পরিবেশবিদ সুভাষ দত্তের দাবি, তিনি পরিবেশ আদালতে মামলা করার পরে বনদফতর জানিয়েছিল, সরকারি এবং বেসরকারি মিলিয়ে প্রায় ৬৯টি লজ ও হোটেল চলছে। তিনি বলেন, “পর্যটনের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। তবে সেটা নিয়ম মেনে করতে হবে।”
ভরা পর্যটন মরসুমে লজ এবং হোটেল বন্ধের নোটিস পেয়ে চিন্তিত পর্যটন ব্যবসায়ীরা। জয়ন্তী ট্যুরিস্ট গাইড অ্যাসোসিয়েশনের তরফে শেখর ভট্টাচার্য জানান, লজ হোটেল বন্ধ হলে প্রভাব পড়বে পর্যটন ব্যবসায়। ডুয়ার্স ট্যুরিজম ডেভেলপমেন্ট ফোরামের তরফে বিপ্লব দে বলেন, ‘‘ভরা পর্যটন মরসুম চলছে। এ ভাবে লজ আর হোটেল বন্ধ হলে কর্মহীন হয়ে পড়বেন অনেক মানুষ।’’ তাঁরা পরিবেশ আদালতের দারস্থ হবেন বলে জানিয়েছেন বিপ্লববাবু। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক রাজাভাতখাওয়ার এক লজ মালিক বলেন, ‘‘আচমকা নোটিস পেয়ে কী করব বুঝে উঠতে পারছি না। অনেক পর্যটক বুকিং করে রেখেছেন।’’
তৃণমূলের ডুয়ার্স ফরেস্ট ভিলেজার্স ওয়ার্কার্স ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক গৌরাঙ্গ ভট্টাচার্যের দাবি, পরিবেশের নিয়ম মেনে কী ভাবে পর্যটনের সঙ্গে যুক্ত মানুষজনের জীবন ও জীবিকা বাঁচিয়ে রাখা যায় তা দেখতে হবে। তিনি বলেন, ‘‘এই নির্দেশের ফলে কয়েকশো মানুষ কাজ হারাবেন। তাঁদের বিকল্প কর্মসংস্থানের জন্য আমরা আন্দোলনে নামব।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy