হেফাজতে: ‘তোলার’ নালিশে ধৃত বিজেপি কর্মীরা। বুধবার। নিজস্ব চিত্র
১০ লক্ষ টাকা তোলা চাওয়ার অভিযোগে বুধবার বীরভূমের ইলামবাজারে গ্রেফতার হলেন পাঁচ বিজেপি কর্মী-সমর্থক। ‘কাটমানি’ নেওয়ার অভিযোগে রাজ্যে যখন একের পর এক তৃণমূল নেতার বাড়ি ঘেরাও, বিক্ষোভ (অনেক জায়গায় বিজেপির উপস্থিতিতে) চলছে তখন এ ঘটনা বিজেপির অস্বস্তি বাড়িয়েছে। তবে দলীয় নেতাদের বক্তব্য, তৃণমূল নেতাদের বিরুদ্ধে কাটমানি নেওয়ার ভূরি ভূরি অভিযোগ উঠলেও তাঁদের এক জনও গ্রেফতার হননি। অথচ দলদাস পুলিশ মিথ্যা অভিযোগে বিজেপি কর্মীদের গ্রেফতার করল।
ঘটনাচক্রে এ দিনই বর্ধমান সদরে বাড়ির নকশা তৈরি করে দেওয়ার নাম করে টাকা নেওয়া, বাড়ি করার সময়ে মানসিক অত্যাচার, এমনকি, রাজ্য ছেড়ে চলে যাওয়ার হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের প্রাক্তন কাউন্সিলারের বিরুদ্ধে। ‘মানসিক চাপ’ সহ্য করতে না পেরেই কিশোর পাসোয়ান (৬৫) হৃদরোগে মারা যান বলে তাঁর পরিবারের অভিযোগ।
বীরভূমে ধৃত বিজেপি কর্মীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, জয়দেব লাগোয়া অজয় নদের এক বালিঘাট মালিকের কাছ থেকে ১০ লক্ষ টাকা তোলা চান তাঁরা। ওই বালিঘাট মালিক ১৭ জনের নামে অভিযোগ করেন। ধৃতদের মধ্যে সন্তোষপুর গ্রামে বিজেপির বুথ সভাপতি শম্ভু মণ্ডল রয়েছেন। বিজেপির জেলা সহ-সভাপতি চিত্তরঞ্জন সিংহের দাবি, ‘‘বেআইনি বালি তোলার প্রতিবাদ করায় ওঁদের মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হয়েছে।’’
বর্ধমানে মৃত কিশোর পাসোয়ান দেড় বছর আগে বর্ধমান শহরে দু’কাঠা জমি কেনেন। তাঁর স্ত্রী পুতুলের অভিযোগ, তৃণমূল নেতা তথা প্রাক্তন কাউন্সিলর সৈয়দ মহম্মদ সেলিম ও তাঁর লোকেরা বাড়ির নকশা, জলের ব্যবস্থা করে দেওয়ার নামে ১ লক্ষ ৪০ হাজার টাকা নেন। কিন্তু কাজ হয়নি। বাড়ির কাজও বন্ধ করে দেওয়া হয়। টাকা ফেরত চাইতে গেলে কিশোরবাবুকে হুমকি দেওয়া হয়। তাঁর ছেলে শ্যামের দাবি, “নেতা ঠকালেন। টাকা গেল। এ সব দুশ্চিন্তাতেই বাবা মারা গেলেন।’’ তবে তৃণমূল জেলা সভাপতি তথা মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ বলেন, “অভিযোগের সারবত্তা নেই।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy