Advertisement
২৫ নভেম্বর ২০২৪

সিন্ডিকেট ঘিরেই গুলি মধ্যমগ্রামে

সোমবার রাত ৮টা নাগাদ ৬-৭ জনের একটি দল বোমাবাজি করতে করতে মধ্যমগ্রামের কদমতলায় তৃণমূলের পার্টি অফিসে ঢোকে। তারা বিনোদকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়।

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ০৩:৫৭
Share: Save:

একদা একসঙ্গেই কাজকর্ম করতেন মধ্যমগ্রামে আক্রান্ত যুব তৃণমূল নেতা বিনোদ সিংহ ওরফে রিঙ্কু এবং আক্রমণে অন্যতম অভিযুক্ত রাখাল নন্দী। তার পরে সিন্ডিকেট ব্যবসা, এলাকা দখল নিয়ে বিবাদের জেরেই সোমবার রাতে দলীয় অফিসে যুব তৃণমূল নেতা বিনোদকে গুলি করা হয় বলে ধৃত পাঁচ জনকে জেরা করে জেনেছে পুলিশ। মঙ্গলবার একই কথা জানান তৃণমূলের উত্তর ২৪ পরগনা জেলা নেতৃত্বও। সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে আরও কয়েক জনের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ।

সোমবার রাত ৮টা নাগাদ ৬-৭ জনের একটি দল বোমাবাজি করতে করতে মধ্যমগ্রামের কদমতলায় তৃণমূলের পার্টি অফিসে ঢোকে। তারা বিনোদকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। ওই যুব নেতার মাথা ছুঁয়ে বেরিয়ে যায় গুলি। ফের বোমা ছুড়তে ছুড়তে দুষ্কৃতীরা পালিয়ে যায়। গুলিবিদ্ধ বিনোদ এবং দীপক বসু নামে অন্য এক তৃণমূলকর্মীকে প্রথমে বারাসতের একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। অবস্থার অবনতি হওয়ায় পরে বিনোদকে পাঠানো হয় এসএসকেএম হাসপাতালে।

তদন্তে নেমে প্রাণ সিংহ, সোমনাথ দত্ত, ঈশ্বর ওরাওঁ, অমিত হালদার ও বিশ্বজিৎ ভুঁইয়া নামে পাঁচ জনকে রাতেই গ্রেফতার করে পুলিশ। উদ্ধার করা হয়েছে দু’টি ওয়ান-শটার এবং দুই রাউন্ড গুলি। অন্যতম অভিযুক্ত রাখাল-সহ বেশ কয়েক জন পলাতক।

স্থানীয় সূত্রের খবর, বছর দশেক আগে বিনোদ ও রাখাল একসঙ্গেই কাজকর্ম করতেন। মধ্যমগ্রাম উড়ালপুলে জোড়া খুনের ঘটনাতেও জড়িয়ে গিয়েছিল তাঁদের নাম।

পুলিশি জেরায় ধৃতেরা জানিয়েছে, তারাও ওই দু’জনের সঙ্গে কাজ করত। পরে বিনোদ তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিয়ে মধ্যমগ্রামের পুরভোটে প্রার্থী হন। জোড়া খুনে অভিযুক্ত বিনোদ কী ভাবে পুরভোটের টিকিট পেলেন, তা নিয়ে জলঘোলা হয়েছিল বিস্তর। পরে হাইকোর্ট থেকে জামিন নিয়ে ভোটে লড়লেও হেরে যান বিনোদ।

পুরভোটের সময় থেকেই রাখালের সঙ্গে বিনোদের দূরত্ব তৈরি হয়। শাসক দলের যুব শাখার নেতৃত্ব পেয়ে ব্যবসা আর দলবল সমান তালে চালাতে থাকেন বিনোদ। পুলিশ জানিয়েছে, বিনোদের জন্যই মধ্যমগ্রাম পুরসভার ৮ এবং ৯ নম্বর ওয়ার্ড দখলে রাখতে পারছিল না রাখাল। মাস তিনেক আগে জেল থেকে ছাড়া পায় সে। হারানো জমি ফিরে পেতে চাইছিল সে। তাই এ ভাবে বিনোদের উপরে হামলা চালায় তার অনুগামীরা।

দলীয় গোষ্ঠী-কোন্দলের জেরেই এই হামলা কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে মধ্যমগ্রাম পুরসভার চেয়ারম্যান তথা বিধায়ক রথীন ঘোষ বলেন, ‘‘পুলিশ তদন্ত করছে। এই বিষয়ে দলের তরফে কিছু বলার নেই।’’

অন্য বিষয়গুলি:

Crime Firing Madhyamgram Syndicate
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy