অনুপম হাজরার বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ করতে হবে, দাবি তৃণমূলের। —ফাইল চিত্র।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সম্পর্কে ‘অবমাননাকর’ মন্তব্য করার দায়ে পুলিশে অভিযোগ দায়ের হল বিজেপি-র সদ্যনিযুক্ত কেন্দ্রীয় সম্পাদক অনুপম হাজরার বিরুদ্ধে।
করোনায় আক্রান্ত হলে তিনি মুখ্যমন্ত্রীকে জড়িয়ে ধরবেন বলে মন্তব্য করেছিলেন অনুপম। তার প্রেক্ষিতেই অনুপমের বিরুদ্ধে শিলিগুড়ি থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে তৃণমূলের রিফিউজি সেল। রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধান তথা একজন মহিলা সম্পর্কে ‘মর্যাদাহানিকর’ মন্তব্য করেছেন বিজেপি নেতা। তাঁর বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ করতে হবে, দাবি তৃণমূলের।
শনিবার বিজেপি-র কেন্দ্রীয় সম্পাদক নিযুক্ত হয়েছেন অনুপম। আর রবিবারই তাঁর এই বিতর্কিত মন্তব্য সামনে এসেছে। করোনা হলে মুখ্যমন্ত্রীকে তিনি কেন জড়িয়ে ধরবেন, রবিবার সে ব্যাখ্যাও অনুপম দিয়েছিলেন। তাঁর কথায়, ‘‘যাঁরা এই রোগে আক্রান্ত হয়েছেন বা এই অতিমারিতে যাঁদের কাছের মানুষরা মারা গিয়েছেন, তাঁদের কষ্টটা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বুঝতে পারবেন।’’
আরও পড়ুন: হাজরা? কে হাজরা? দিল্লি থেকে কলকাতা, জবাব খুঁজছে গোটা পরিবার
আরও পড়ুন: বিরতি কাটিয়ে ফের শুরু জেলা সফর, চার দিনের জন্য উত্তরবঙ্গে মমতা
বিজেপি নেতার ওই মন্তব্যের তীব্র প্রতিক্রিয়া তৈরি হয় রাজনৈতিক শিবিরে। তৃণমূলের তরফ থেকে এই কথার প্রবল নিন্দা তো শুরু হয়ই। বিজেপি নেতাদের একাংশও অনুপমের ওই মন্তব্যের সঙ্গে নিজেদের দূরত্ব স্পষ্ট করে দেন। দলের সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি মুকুল রায় বলেন, ‘‘যাঁরা দায়িত্বপূর্ণ জায়গায় রয়েছেন, কথা বলার সময়ে তাঁদের ভেবে বলা উচিত।’’ তবে এই নিন্দা বা সমালোচনাতেই থেমে যায়নি বিষয়টি। অনুপমের নামে পুলিশে অভিযোগও দায়ের হয়ে গিয়েছে।
সোমবার অনুপম অবশ্য আত্মপক্ষ সমর্থনে মুখ খুলেছেন। মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে পাল্টা অভিযোগ তুলেছেন তিনি। অনুপমের কথায়, ‘‘আমার মন্তব্য যদি অবমাননাকর হয়ে থাকে আর তার উপরে ভিত্তি করে যদি এফআইআর হয়ে থাকে, তা হলে সেই সব অবমাননাকর দিনগুলো ভুলবেন না, যখন দেশের প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে আপনি বলেছিলেন— কোমরে দড়ি বেঁধে ঘোরাব।’’ পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপালের উদ্দেশেও তৃণমূলের নেতা-মন্ত্রীরা ‘অবমাননাকর’ মন্তব্য করে থাকেন বলে অনুপমের অভিযোগ। তাঁর বিরুদ্ধে পুলিশি পদক্ষেপ হলে মুখ্যমন্ত্রী-সহ তৃণমূলের অন্য অনেক নেতা-মন্ত্রীর বিরুদ্ধেও পুলিশি পদক্ষেপ হতে হবে বলে এই বিজেপি নেতা তথা তৃণমূলের প্রাক্তন সাংসদের দাবি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy