গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।
ভোট মানেই অঙ্ক! রাজনীতির অঙ্ক, ভোট পাওয়ার অঙ্ক, ভোট কাটাকাটির অঙ্ক। এ অঙ্কে ভোটাররা সংখ্যা মাত্র। কিন্তু ভোটের পরিসংখ্যানে নির্ভেজাল মজার অঙ্কও মিলে যায় কখনও কখনও। যেমন কলকাতার ৬৭ নম্বর ওয়ার্ড। কসবা বিধানসভা এলাকার মধ্যে পড়া এই ওয়ার্ডে লড়ছেন পাঁচ জন প্রার্থী। সে তো অনেক ওয়ার্ডেই আছে। কিন্তু এখানে মোট ভোটারের সংখ্যাটা পাঁচ অঙ্কেরই শুধু নয়— একক, দশক, শতক, সহস্র, অযুত— এই পাঁচটি অঙ্কেই বিরাজ করছে পাঁচ। অর্থাত্ ৫৫৫৫৫।
পাঁচের খেলা আছে কলকাতার পাঁচ নম্বর ওয়ার্ডেও। এখানেও প্রার্থীর সংখ্যা পাঁচ। কাকতালীয় ভাবে এর পরের ওয়ার্ড অর্থাত্ ছয় নম্বর ওয়ার্ডে প্রার্থীর সংখ্যা ছয়।
আরও আছে। ১০০ নম্বর ওয়ার্ডে প্রার্থী সংখ্যা ১০। এই সংখ্যাটাই উল্লেখযোগ্য হয়ে ওঠে পাশের ওয়ার্ড ১০১-এর হিসেব দেখলে। সেখানে প্রার্থী ১১ জন। অর্থাৎ এই দুই তিন অঙ্কের ওয়ার্ডের প্রথম ও তৃতীয় সংখ্যা পাশাপাশি বসালেই মিলে যাবে মোট প্রার্থীর সংখ্যা।
এমন অঙ্কের মজা না থাকলেও কলকাতা পুরভোটের আরও কিছু পরিসংখ্যান জেনে রাখা ভাল। ১৪৪টি ওয়ার্ড নিয়ে তৈরি কলকাতা পুর এলাকায় এ বার মোট ভোটার ৪০,৪৮,৩৫২। সবচেয়ে বেশি ভোটার ৬৬ নম্বর ওয়ার্ডে। ৯৫,০৩৮ জন। সবচেয়ে কম ৮৭ নম্বরে। ভোটার সংখ্যা ১০,০৩৩। কলকাতায় ওয়ার্ড পিছু গড় ভোটার ২৮,১১৪ জন।
এ বার কলকাতা পুরভোটে মোট প্রার্থী ৯৫০ জন। সবচেয়ে বেশি প্রার্থী নির্দল। ৩৭৮ জন।
দলগুলির মধ্যে সবচেয়ে বেশি প্রার্থী তৃণমূলের। ১৪৪টি আসনের প্রত্যেকটিতেই প্রার্থী দিয়েছে রাজ্যের শাসকদল।
বিজেপি-র প্রার্থী ১৪২ জন।
বামেরা লড়ছে ১২৮ আসনে। কিন্তু তাদের প্রার্থীর সংখ্যা ১২৯। গোলমেলে লাগছে? না, সোজা হিসেব। ১০৬ নম্বরে গোলমাল শরিকে শরিকে। ফলে সিপিএম আর আরএসপি দু’দলই হাত ধরাধরি ছেড়ে মুখোমুখি লড়াইয়ে।
কংগ্রেসের প্রার্থী ১২১ জন। কলকাতা পুরভোটে অন্যান্য দলের প্রার্থী রয়েছেন ৩৬ জন।
এ বার সবচেয়ে বেশি প্রার্থী লড়ছেন জোড়াসাঁকো এলাকার ৩৯ নম্বর ওয়ার্ডে। ১৬ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন এখানে। আর সবচেয়ে কম তিন জনের লড়াই হচ্ছে বেহালার ১৪২ নম্বর ওয়ার্ডে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy