—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
‘ক্রাইম সিন’ বদলে পুলিশের ‘অতি সক্রিয়তা’ ও মেয়ের দেহ দ্রুত সৎকারে আপত্তি জানিয়ে সংরক্ষণের আর্জি জানালে টালা থানার ওসি মানসিক চাপ তৈরি করেন বলে এ বারে অভিযোগ করলেন আর জি কর কাণ্ডে নির্যাতিতার মা ও বাবা।
সোমবার সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে নিহত চিকিৎসক-পড়ুয়ার বাবা বললেন, “আমাদের সাধারণ বুদ্ধিতে প্রথম থেকেই ওঁর (টালা থানার ওসি) বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছিলাম। আর জি করে ঢোকার পরেই বিষয়টি বুঝতে পেরেছিলাম। জিডি-তে (জেনারেল ডায়েরি) লেখা হয়েছিল, সংজ্ঞাহীন অবস্থায় মেয়েকে পাওয়া গিয়েছে। তা হলে আমাদের তিন ঘণ্টা দেখতে না দিয়ে অপেক্ষা করিয়ে রাখা হল কেন? চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হল না কেন?”
তরুণীর বাবার আশঙ্কা, “আমার মেয়ে হয়তো তখনও জীবিত ছিল। প্রমাণ লোপাট করতে ওরাই পরে মেয়েকে মেরে ফেলেছে!” তার পরেই তিনি বলেন, “এখানে রক্ষকই ভক্ষক। বিপদে পড়লে সকলেই প্রথমে পুলিশের কাছে যায়। আমরাও গিয়েছিলাম। লাভ হয়নি। সেটাই সিবিআই দেখেছে, তথ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে গ্রেফতার করেছে।”
ওসির বিরুদ্ধে মুখ খুলেছেন নির্যাতিতার মা-ও। তিনি বলেন, “আর জি কর থেকে আমরা দেহ সংরক্ষণ করতে চেয়ে টালা থানায় গিয়েছিলাম সেই দিন। ওসি তখন আমাদের সহযোগিতা করেননি। আমাদের মানসিক চাপ বাড়িয়েছেন দ্রুত সৎকার করাতে চেয়ে।” তাঁর কথায়, “তখন দেহ বাড়িতে এসে গিয়েছে, আর আমরা টালা থানায়। আমাদের কথা কেউ শোনেনি। দু’-তিনশো পুলিশ বাড়ির সামনে। কী করতে পারতাম সেই দিন!”
মায়ের আরও দাবি, “আমরা প্রথম থেকেই বলেছি, ‘ক্রাইম সিন’ পাল্টানো হয়েছে। ওখানে কিছু ঘটেনি। দেখেই সেটা বোঝা গিয়েছিল, পুরো সাজিয়ে রাখা। পুলিশ প্রশাসন, স্বাস্থ্য দফতর, কলেজ কর্তৃপক্ষ— সবার ভূমিকা ছিল এতে। সিবিআই সেটা তদন্ত করে দেখছে।” তার পরেই তিনি যোগ করেন, “এ ক্ষেত্রে পুলিশ অতি সক্রিয় ছিল বলেই মনে করছি। সুপ্রিম কোর্টের উপরে আস্থা আছে। দেখা যাক আগামী দিনে কী হয়।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy