এসএসকেএম-এ মৃত কুকুরছানাগুলি। —ফাইল চিত্র
গ্রামের বাড়িতে একটি পোষা দেশি কুকুর রয়েছে। নিজের হাতে তাকে স্নান করানো, খাওয়ানো— সবই করেন মৌটুসি মণ্ডল। সেই মেয়েই নীলরতন সরকার হাসপাতালে ষোলোটি কুকুরছানা খুনের মামলায় গ্রেফতার হওয়ায় তাজ্জব আত্মীয়েরা।
বাঁকুড়ার কোতুলপুর থানার কারকবেড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা মৌটুসি পুজোর আগে কলকাতায় ‘নার্সিং’ পড়তে যান। মঙ্গলবার দুপুরে তাঁর গ্রেফতারের খবর পেয়ে অবাক মৌটুসির জেঠামশাই গৌরাঙ্গ মণ্ডল। তাঁর কথায়, ‘‘বাড়িতে পোষা কুকুরটাকে মৌটুসি খুব ভালবাসে। ভাবতেই পারছি না, পিটিয়ে কুকুরছানা মারার ঘটনায় কী ভাবে ওর নাম জড়াল! ওর মতো মেয়ে এমন করতে পারে বিশ্বাস হচ্ছে না!’’
গৌরাঙ্গবাবু জানান, পুরো ঘটনায় ভেঙে পড়েছেন মৌটুসির বাবা ও মা। চেষ্টা করেও এ দিন তাঁদের সঙ্গে কথা বলা যায়নি। গৌরাঙ্গবাবুর ছেলে এ দিন কলকাতায় গিয়েছেন পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করতে। মৌটুসির আর এক জেঠার স্ত্রী ঝর্না মণ্ডল বলেন, ‘‘কুকুরের প্রতি কোনও কালেই রাগ-ভয়-বিদ্বেষ ছিল না মৌটুসির। অবিশ্বাস্য।’’ পড়শিরাও নার্সিং ছাত্রীটির বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ মানতে পারছেন না। কারকবেড়িয়ার বাসিন্দা তথা স্থানীয় লাউগ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য উত্তম পাল বলেন, ‘‘মেয়েটা কলকাতায় কী যে ঘটনায় জড়াল, এখান থেকে বোঝা যাচ্ছে না।’’
আরও পড়ুন : যদি কামড়ায়! ‘ছক’ কষেই কুকুর-নিধন
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy