প্রতীকী ছবি
শুধু বেসরকারি হাসপাতাল নয়, ভুয়ো সার্টিফিকেট দেখিয়ে সরকারি হাসপাতালেও চাকরি করছেন ভুয়ো চিকিৎসকেরা।
সিআইডি প্রথম যে তিন জনকে ধরেছিল, সেই কাইজার আলম, কুশীনাথ হালদার এবং স্নেহাশিস চক্রবর্তী সরকারি হাসপাতালের সঙ্গে যুক্ত বলে গোয়েন্দাদের দাবি। রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের অধীন ন্যাশনাল রুরাল হেল্থ মিশনে চাকরি পেয়েছিলেন তিন জন। সিআইডি দেখেছে, তিন জনের এক জন অষ্টম শ্রেণি উত্তীর্ণ। এক জন মাধ্যমিক পাশ, অন্য জন উচ্চ মাধ্যমিক।
সরকারি প্রতিষ্ঠানে আর কত ভুয়ো চিকিৎসক রয়েছেন, তা খতিয়ে দেখবে রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিল। কিন্তু প্রশ্ন হল, কাউন্সিল কেন সরকারি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যুক্ত ওই চিকিৎসকদের আগেই চিহ্নিত করতে পারেনি? কাউন্সিল সভাপতি নির্মল মাজি সোমবার দাবি করেন, ‘‘আগের সরকার ওই চিকিৎসকদের নিযুক্ত করেছিল।’’ সিআইডি কিন্তু জানাচ্ছে, কাশীনাথ চাকরি পেয়েছেন ২০১১ সালে। কাইজার ২০১২ সালে। স্নেহাশিস চাকরি পেয়েছেন ২০১০ সালে। নির্মলবাবুর দাবি, ‘‘কোথায় কে কোন সার্টিফিকেট দিয়ে কাজ করছে সব আমরা এ বার খতিয়ে দেখব।’’ গত ছ’বছরে এই শুদ্ধিকরণ অভিযান হল না কেন? সভাপতি বলেন, ‘‘সবই আস্তে আস্তে হচ্ছে।’’
আরও পড়ুন: তোর্সা প্রস্তাবে সমীক্ষা কেন্দ্রের
কাউন্সিল চিকিৎসকদের বলেছে, তাঁরা যেন তাঁদের সমস্ত ডিগ্রি এবং ডিপ্লোমা আপডেট করেন। সাধারণ মানুষের কাছে নির্মলবাবুর পরামর্শ, কোনও চিকিৎসকের যোগ্যতা সম্পর্কে সন্দেহ তৈরি হলে দ্রুত কাউন্সিলে অভিযোগ করতে পারেন।
বুধবার বিকেল থেকে নির্দিষ্ট ওয়েবসাইটে (www.wbmc.in) অভিযোগ করা যাবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy