ইডির দফতরে অবশ্য এর আগেও এক বার এসেছিলেন প্রিয়ঙ্কা। ফাইল চিত্র
আতশকাচের তলায় প্রথম থেকেই ছিলেন। এ বার ইডির দফতরে হাজির হতে হল তৃণমূলের বহিষ্কৃত নেতা শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্ত্রী প্রিয়ঙ্কা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। বৃহস্পতিবার সকালে সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে ঢুকতে দেখা গেল তাঁকে। ইডি সূত্রে খবর, নিয়োগ মামলায় বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নের উত্তর পেতে তদন্তকারী সংস্থার তরফেই ডেকে পাঠানো হয়েছে প্রিয়ঙ্কাকে।
নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে নেমে শান্তনুর বিষয়সম্পত্তির খোঁজে নেমে প্রিয়ঙ্কার নামে একাধিক সম্পত্তির সন্ধান পেয়েছিল ইডি। একাধিক বাড়ি, ফ্ল্যাট ছাড়াও ইভান কন্ট্রেড প্রাইভেট লিমিটেড নামে একটি সংস্থার ডিরেক্টর হিসাবেও শান্তনুর স্ত্রীর নাম রয়েছে বলে জানতে পারে ইডি। এই সংস্থার নামে আবার একাধিক সম্পত্তি কেনা হয়েছিল। এ ছাড়াও আঁকার শিক্ষিকা প্রিয়ঙ্কার একটি বুটিকও ছিল। সেই ব্যবসাও কালক্রমে ফুলেফেঁপে উঠেছিল বলে ইডি সূত্রে খবর। ইতিমধ্যেই ইভান কন্ট্রেডের এক কর্তা রাকেশ মণ্ডলকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে ইডি। এ বার তলব করা হয়েছে প্রিয়ঙ্কাকেও। ইডি সূত্রে খবর, প্রিয়ঙ্কাকে এই সমস্ত সম্পত্তি এবং তাঁর নামে থাকা সংস্থার লেনদেন সংক্রান্ত বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারে ইডি। ব্যবসার মূলধনের সূত্র কী? তা-ও জানতে চাওয়া হতে পারে প্রিয়ঙ্কার কাছে।
ইডির দফতরে অবশ্য এর আগেও এক বার এসেছিলেন প্রিয়ঙ্কা। তবে সে বার সম্ভবত ইডি তলব করেনি তাঁকে। কারণ পরে প্রিয়ঙ্কা বলেছিলেন, ‘‘ইডি আমাকে ডাকেনি এক বারও। ডাকলে নিশ্চয়ই সহযোগিতা করব।’’ তাঁর নামে বিপুল সম্পত্তি প্রসঙ্গেও তাঁকে বলতে শোনা গিয়েছিল, ‘‘কিছু সম্পত্তির কথা অবশ্যই জানতাম। তবে সবটা জানি না।’’
বৃহস্পতিবার অবশেষে ইডির প্রশ্নের মুখোমুখি তিনি। সকাল ১০টা ৪০ মিনিটে ইডির দফতরে ঢোকেন প্রিয়ঙ্কা। তাঁর পরনে ছিল নীল-সাদা সালোয়ার-কামিজ। এক হাতে একটি জলের বোতল এবং অন্য হাতে ব্যাগ। সিজিও চত্বরে উপস্থিত সাংবাদিকদের সঙ্গে কোনও কথা না বলেই তিনি ভিতরে ঢুকে যান।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy