সম্মেলন-পর্বের শেষ পর্বে এসে ‘ব্যতিক্রমে’র ধারা প্রয়োগ বেড়ে গেল সিপিএমে! তিন দফায় জেলা সম্পাদক থাকার মেয়াদ পূর্ণ হয়ে গেলেও পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় ওই পদে ফের দায়িত্ব পেলেন নিরঞ্জন সিহি। মালদহেও একই ভাবে তিন বারের মেয়াদ পেরিয়ে সম্প্রতি ফের জেলা সম্পাদক হয়েছেন অম্বর মিত্র। সিপিএম সূত্রে বলা হচ্ছে, তিন বারের পরেও সম্পাদক থাকার সংস্থান দলের গঠনতন্ত্রে রয়েছে। পরিস্থিতির প্রেক্ষিতে সেই ধারা কাজে লাগানো হচ্ছে। তবে ‘ব্যতিক্রম’ বাড়তে থাকলে আসন্ন রাজ্য সম্মেলনেও তার প্রভাব পড়বে কি না, সেই প্রশ্নে গুঞ্জন তৈরি হয়েছে সিপিএমের অন্দরে।
রাজ্যে কোচবিহার ও উত্তর ২৪ পরগনা বাদে বাকি সব জেলার সম্মেলন সম্পন্ন হয়েছে সিপিএমে। কোচবিহারে আজ, সোমবার থেকে জেলা সম্মেলন শুরু। ওই জেলার সম্পাদক অনন্ত রায় তিন দফার মেয়াদ পূরণ না-করলেও বয়সের ঊর্ধ্বসীমা পেরিয়েছেন। মালদহ ও পূর্ব মেদিনীপুরের পরে দলের একাংশে প্রশ্ন উঠেছে, কোচবিহারেও কি ‘ব্যতিক্রম’ হবে? রাজ্য সিপিএম সূত্রের অবশ্য বক্তব্য, এখনও পর্যন্ত জেলা সম্মেলনে পদে থাকার ক্ষেত্রে বয়স-নীতির ‘ব্যতিক্রম’ করা হয়নি। সে ক্ষেত্রে এখন রাজ্য কমিটির সদস্য নন, কোচবিহারে এমন এক নেতাকে নতুন দায়িত্বে দেখা যেতে পারে।
পাঁশকুড়ায় রবিবার শেষে হয়েছে সিপিএমের পূর্ব মেদিনীপুর জেলার ২৫তম সম্মেলন। শেষ দিনে গঠিত হয়েছে ৬০ জনের জেলা কমিটি। দলীয় সূত্রের খবর, পুরনো কমিটির চার জন বাদ গিয়েছেন, নতুন অন্তর্ভুক্তি হয়েছে ৯ জনের। দলের রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য সুজন চক্রবর্তী ও অনাদি সাহু এবং রাজ্য কমিটির সদস্য গীতা হাঁসদা, সুখেন্দু পানিগ্রাহীদের উপস্থিতিতে নতুন জেলা কমিটি নিরঞ্জনকেই ফের জেলা সম্পাদক হিসেবে বেছে নিয়েছে। দলের রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর এক সদস্যের বক্তব্য, ‘‘সম্ভাব্য বিকল্প এবং গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে আলোচনা করে সর্বসম্মতিতেই সিদ্ধান্ত হয়েছে।’’
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)