প্রতীকী চিত্র।
বিটেক পড়ুয়া এক তরুণের রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার হল ঝাড়গ্রামে। পরিবারের অভিযোগ, সম্রাট নাগ (২২) নামে ওই তরুণকে খুন করা হয়েছে৷ কী কারণে খুন সষ্ট নয়৷ তবে পরিজনদের নিশানায় রয়েছে সম্রাটের বন্ধুরা৷ এ ক্ষেত্রে মাদকচক্রের যোগ থাকতে পারে বলেও বিভিন্ন মহলে চর্চা চলছে৷
বেঙ্গালুরুর 'ইস্ট-ওয়েস্ট ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি'তে কম্পিউটর ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র সম্রাট দিন পনেরো আগে ঝাড়গ্রামের বাড়িতে এসেছিলেন। বৃহস্পতিবার খড়্গপুর থেকে ট্রেনে বেঙ্গালুরু ফেরার কথা ছিল তাঁর। ট্রেনের টিকিটও কাটা ছিল। তবে বুধবার সন্ধ্যায় বাড়ি থেকে স্কুটি নিয়ে বেরিয়ে আর ফেরেননি সম্রাট। রাত ১১টা নাগাদ তাঁর মোবাইলে ফোন করেন মা। সেই শেষ ফোনে মাকে সম্রাট জানিয়েছিলেন, শহরের বাইপাস রাস্তায় আছেন। একটু পরে ফিরবেন। এরপর মোবাইলের ‘সুইচ অফ’ হয়ে যায়। বৃহস্পতিবার সকালে সম্রাটের রক্তাক্ত দেহ মেলে অরণ্যশহরের উপকন্ঠে গ্রামীণ এলাকার জয়নগরে।
পরিবারের অভিযোগ, সম্রাটকে খুন করা হয়েছে। তবে এখনও পুলিশে অভিযোগ দায়ের হয়নি। সম্রাটের পারিবারিক আইনজীবী হিমেল ছেত্রী বলেন, ‘‘পরিকল্পিতভাবে সম্রাটকে খুন করা হয়েছে। পরিবারটি এখন শোকাচ্ছন্ন। সবদিক খতিয়ে দেখে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করা হবে।’’ জেলা পুলিশ সুপার বিশ্বজিৎ ঘোষের বক্তব্য, ‘‘ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এলে মৃত্যুর কারণ বলা যাবে। পরিবার অভিযোগ করলে তদন্ত করা হবে।’’
শহরের ১২ নম্বর ওয়ার্ডের রঘুনাথপুরে তাঁদের। শহরের স্কুল থেকে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকে কৃতিত্বের সঙ্গে উত্তীর্ণ হয়ে বেঙ্গালুরুতে পড়তে যান সম্রাট। পরিবার সূত্রে খবর, করোনা কালে ঝাড়গ্রামে থাকাকালীন বয়সে বড় কিছু যুবকের সঙ্গে বন্ধুত্ব হয় তাঁর। সম্রাটের বাবা সুদীপ্ত ও কাকা রাজীব নাগ বলেন, ‘‘ওই সব বন্ধুর ফোন এলেই মান্তা (সম্রাটের ডাকনাম) বাড়ি থেকে বেরিয়ে যেত। আমাদের সন্দেহ হত। কিন্তু এমন ভয়াবহ পরিণতি হবে ভাবিনি।’’
বুধবার শহরের ভালুকখোলায় পারিবারিক আদিবাড়িতে ঠাকুমার কাছে দুপুরের খাওয়া দাওয়া সেরে বিকেলে বাড়ি ফিরেছিলেন সম্রাট। তারপরে বন্ধুদের ফোন পেয়ে সন্ধ্যায় স্কুটি নিয়ে বেরোন। বৃহস্পতিবার সকালে পথচলতি লোকজন জয়নগরের রাস্তায় রক্তাক্ত তরুণের দেহ পড়ে থাকতে দেখেন। মাথায় ছিল গভীর ক্ষত। স্কুটি পাশেই পড়েছিল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy