Advertisement
২২ নভেম্বর ২০২৪
Sukanya Mondal

পিতা অনুব্রতকে সাড়ে আট মাস আগে ধরেছিল সিবিআই, এ বার ইডি গ্রেফতার করল সুকন্যাকে

অনুব্রত সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার হয়ে আসানসোল সংশোধনাগারে বন্দি ছিলেন। পরে তাঁকে গ্রেফতার করে ইডিও। ইডির করা মামলায় অনুব্রত এখন দিল্লির তিহাড় জেলে বন্দি।

অনুব্রত মণ্ডল এবং সুকন্যা মণ্ডল। ফাইল ছবি।

অনুব্রত মণ্ডল এবং সুকন্যা মণ্ডল। ফাইল ছবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৬ এপ্রিল ২০২৩ ২০:২৯
Share: Save:

গরু পাচার মামলায় গত বছরের ১১ অগস্ট গ্রেফতার হন অনুব্রত মণ্ডল। তার ঠিক সাড়ে আট মাস এ বার তাঁর কন্যা সুকন্যা মণ্ডলও গ্রেফতার হলেন একই মামলায়। বুধবার দিল্লিতে সুকন্যাকে দীর্ঘ ক্ষণ জেরার পর গ্রেফতার করল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ই়ডি)।

সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার হয়ে অনুব্রত একটা দীর্ঘ সময় আসানসোল সংশোধনাগারে বন্দি ছিলেন। পরে ইডি-ও তাঁকে গ্রেফতার করে। ইডির করা মামলায় অনুব্রত এখন দিল্লির তিহাড় জেলে বন্দি। কেষ্টকে গ্রেফতার করার পর থেকে বেশ কয়েক বার সুকন্যাকে ডেকে পাঠিয়েছিল ইডি। কিন্তু একাধিক বার শরীর খারাপের কারণ দেখিয়ে হাজিরা এড়িয়েছেন সুকন্যা। ইডির একটি সূত্রের দাবি, তদন্তে প্রভাব ফেলতে পারেন, এই আশঙ্কা থেকেই সুকন্যাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

তবে বাবা সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার হওয়ার পর অবশ্য কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার মুখোমুখি হয়েছিলেন সুকন্যা। গোয়েন্দাদের সূত্রে খবর, সুকন্যা তখন জিজ্ঞাসাবাদের সময় তদন্তকারীদের বুঝিয়ে দিয়েছিলেন, কোনও রকম আর্থিক লেনদেনের বিষয়ে তিনি কিছুই জানতেন না। সব কিছুই জানেন তাঁর হিসাবরক্ষক। সুকন্যা আরও দাবি করেছিলেন, তিনি কোনও দিন ব্যাঙ্কে গিয়ে নগদ টাকা জমা দেননি। কোথায় কী সম্পত্তি রয়েছে, তা-ও তিনি জানেন না।

তদন্তকারীদের দাবি, সুকন্যা একাধিক সংস্থার ডিরেক্টর এবং তাঁর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে কোটি কোটি টাকা জমা হয়েছে। লেনদেনও হয়েছে। তাঁর সংস্থার মাধ্যমে কেনা বিভিন্ন চালকল-সহ কয়েক কোটি টাকা সম্পত্তির হদিস মিলেছে। ২০১৫ সালের পর থেকে তাঁর ব্যাঙ্ক আমানত ও সম্পত্তি বেড়েছে জেট-গতিতে। ২০১৮ সালের পর থেকে তাঁর নামে বোলপুরের বিভিন্ন রাষ্ট্রায়ত্ত ও বেসরকারি ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্টে প্রায় প্রতিদিন নগদ টাকা জমা পড়েছে বলে তদন্তে জানা গিয়েছে। অথচ পেশায় তিনি এক জন প্রাথমিক স্কুলশিক্ষিকা। এবং তিনি সেই চাকরি পান ২০১৪ সালে। ইডি সূত্রে আরও দাবি, সুকন্যা প্রথম দিকে ওই সব লেনদেন ও সম্পত্তির প্রসঙ্গ এড়িয়ে যাচ্ছিলেন। মনে করা হচ্ছিল, তিনি সব জানেন, অথচ তদন্তে সহযোগিতা করছেন না। তার পরেই সুকন্যার নামে থাকা বিভিন্ন সংস্থা, সম্পত্তি ও ব্যাঙ্ক আমানতের একের পর এক নথি তুলে ধরে তাঁকে প্রশ্ন করা হতে থাকে। সেই সব নথিতে সুকন্যার সই রয়েছে। কিন্তু তিনি ওই সব বিষয়ে কিছুই জানতেন না বলে জানান সুকন্যা। ইডি সূত্রের দাবি, এ বার বাবা এবং মেয়েকে মুখোমুখি বসিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের প্রস্তুতি নিচ্ছেন তদন্তকারীরা।

অন্য বিষয়গুলি:

Sukanya Mondal
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy