Advertisement
২৪ নভেম্বর ২০২৪

প্রাথমিকের খেলার ক্লাসের সময় বেঁধে দিল শিক্ষা পর্ষদ

খেলার ক্লাসে ‘কিতকিত’, ‘দাড়িয়াবান্ধা’, ‘লুকোচুরি’, ‘রুমালচুরি’, ‘বিস্কুট দৌড়’, ‘বউবসন্ত’ ও ‘গোল্লাছুট’ প্রভৃতি খেলা হবেয় যেগুলি প্রচলিত লোক ক্রীড়া হিসাবে পরিচিত।

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

নিজস্ব সংবাদদাতা
তমলুক শেষ আপডেট: ১৬ জানুয়ারি ২০২০ ০০:২১
Share: Save:

স্কুল চলাকালীন প্রাথমিক পড়ুয়াদের খেলাধুলোর ক্লাস রাখার নির্দেশিকা এসেছিল আগেই। এবার ওই ক্লাসের সময় সীমা বেঁধে দিল রাজ্য প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। তবে নির্ধারিত ওই সময় নিয়ে আপত্তিও তুলেছেন শিক্ষকদের একাংশ।

বুধবার তমলুকে জেলাপ্রশাসনিক অফিসে বৈঠক করেন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য। সেখানে ছিলেন জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদের সভাপতি, জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক এবং সমস্ত অবর বিদ্যালয় পরিদর্শকেরা। বৈঠকে খেলাধুলোর ক্লাসের সময় ও কী কী খেলাধুলো হবে, সে নিয়ে আলোচনা হয়।

বৈঠকের পরে মানিক জানিয়েছেন, প্রথম ক্লাস হবে মাতৃভাষার (১১টা থেকে ১১টা ৪০ মিনিট পর্যন্ত), দ্বিতীয় ক্লাস ইংরেজির (১১টা ৪০ থেকে ১২টা ২০ মিনিট পর্যন্ত)। এর পরে হবে অঙ্কের ক্লাস (১২টা ২০ থেকে ১টা ১০) ওই ক্লাসের পরে ১টা ১০ থেকে ১টা ৫০ মিনিট পর্যন্ত হবে খেলাধুলোর ক্লাস। তার পড়ুয়াদের মিড-ডে মিল দেওয়া হবে। মানিক বলেন, ‘‘রাজ্য সরকার প্রাথমিক স্কুলে পড়ুয়াদের খেলাধূলার ক্লাস রাখা বাধ্যতামূলক করেছে। মোবাইল ফোন ও বৈদ্যুতিন গ্যাজেটের অতিরিক্ত ব্যবহারে শিশুদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশ বাধাপ্রাপ্ত হচ্ছে। তাই খেলাধুলোর মাধ্যমে আনন্দপূর্ণ পরিবেশে শিক্ষাদানের জন্য চলতি শিক্ষাবর্ষ এই ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে।’’

খেলার ক্লাসে ‘কিতকিত’, ‘দাড়িয়াবান্ধা’, ‘লুকোচুরি’, ‘রুমালচুরি’, ‘বিস্কুট দৌড়’, ‘বউবসন্ত’ ও ‘গোল্লাছুট’ প্রভৃতি খেলা হবেয় যেগুলি প্রচলিত লোক ক্রীড়া হিসাবে পরিচিত। এতে স্কুলছুট বা ‘ড্রপ আউট’ কমবে বলে আশা করছে শিক্ষা পর্ষদ। এ দিন মানিক জানিয়েছেন, প্রাথমিক পড়ুয়াদের থেকে ক্রীড়া প্রতিভা বাছাই করে প্রশিক্ষণ দেওয়ার জন্য এ বছর রাজ্য সরকার বাণীপুরে বি আর অম্বেদকর স্পোর্টস আকাডেমি চালু করেছে। সেখানে এ বছর ৩০ জন পড়ুয়াকে প্রশিক্ষণ দেওয়ার জন্য রাখা হয়েছে। রাজ্যস্তরের ক্রীড়া প্রতিযোগিতা থেকে পড়ুয়াদের নির্বাচন হয়েছে। এতে পূর্ব মেদিনীপুরের ২ জন পড়ুয়া রয়েছে। পর্ষদ সভাপতি বলেন, ‘‘রাজ্যের প্রতিটি সার্কেল থেকে দু-জন শিক্ষককে ক্রীড়া প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। প্রশিক্ষণের পর তাঁরা জেলায় বিভিন্ন স্কুলের শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ দেবেন।’’

তবে খেলাধুলোর ক্লাসের যে সময়সীমা বাঁধা হয়েছে, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে বঙ্গীয় প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি। সমিতির জেলা সম্পাদক সতীশ সাউ বলেন, ‘‘এখন দুপুর ১টা ১৫ মিনিট নাগাদ মিড-ডে মিল খাওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে। কিন্তু নতুন সূচি অনুযায়ী খেলাধুলার ক্লাস শেষে মিড-ডে মিল খাওয়ানো হবে। এতে অনেকটা দেরি যাবে। এতে পড়ুয়াদের অসুস্থ হওয়ার আশঙ্কাও থাকছে। আমরা চাই ক্লাসের শেষ পিরিয়ড খেলার জন্য বরাদ্দ হোক।’’

এ দিনের বৈঠকের প্রসঙ্গে জেলাশাসক পার্থ ঘোষ বলেন, ‘‘প্রাথমিকের মাঠগুলির উন্নয়নে ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পে ইতিমধ্যে বেশ কয়েকটি স্কুলে কাজ হয়েছে। বিভিন্ন চক্র থেকে স্কুলের তালিকা নিয়ে কেন্দ্রীয়ভাবে এই কাজ করা হবে।’’

অন্য বিষয়গুলি:

Education Department Primary School
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy