বাকিবুর রহমান। —ফাইল চিত্র।
সংশোধনাগারে গিয়ে বাকিবুর রহমানকে আরও জেরার প্রয়োজন রয়েছে বলে আদালতে দাবি করল ইডি।
রেশন বণ্টন দুর্নীতির মামলায় এই চালকল মালিককে আগেই গ্রেফতার করেছিল ইডি। কার্যত তাঁকে জেরার ভিত্তিতেই রাজ্যের প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী, বর্তমান বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় (বালু) মল্লিকের সঙ্গে রেশন বণ্টন দুর্নীতির যোগ রয়েছে বলে দাবি করে ইডি। ওই অভিযোগে গ্রেফতারও করা হয় মন্ত্রীকে।
যে সময়ে জ্যোতিপ্রিয়কে গ্রেফতার করা হয়, তখনও ইডির হেফাজতেই ছিলেন বাকিবুর। জ্যোতিপ্রিয়কেও নিজেদের হেফাজতে নিয়ে বাকিবুরের মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করার পরিকল্পনা ছিল তদন্তকারীদের। কিন্তু, জ্যোতিপ্রিয়কে গ্রেফতার করে আদালতে পেশ করা হলে আদালতেই অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি এবং সেখান থেকে সরাসরি চলে যান বেসরকারি হাসপাতালে। দিন তিনেক পরে হাসপাতাল থেকে মন্ত্রীকে নিয়ে ইডি যখন নিজেদের দফতরে পৌঁছয়, তার আগেই বাকিবুরের ইডি হেফাজতের মেয়াদ শেষ হয়ে যায়। তিনি চলে যান সংশোধনাগারে।
বুধবার সংশোধনাগার থেকে বাকিবুরকে বিচার ভবনের সিবিআই (পিএমএলএ) বিশেষ আদালতে পেশ করা হয়। সেখানেই ইডি দাবি করে, জ্যোতিপ্রিয়কে জেরা করে রেশন দুর্নীতি কাণ্ডে মন্ত্রী ও বাকিবুরের যোগসাজসের আরও নতুন তথ্য উঠে এসেছে। তার ভিত্তিতেই আবার বাকিবুরকে জেরা করা দরকার। উল্লেখ্য, জ্যোতিপ্রিয়ও ইডি হেফাজতের মেয়াদ শেষে এখন জেল হেফাজতে রয়েছেন। তবে, অসুস্থতার কারণে আপাতত তিনি এসএসকেএম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
এ দিন বাকিবুরের আইনজীবীরা তাঁর জামিনের আবেদন করেননি। ১৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাকিবুরকে জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।
এ দিন আদালতে ইডির আরও দাবি, কোনও রকম শিবির না খুলে ভুয়ো চাষীদের নামে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খুলে ধানের সহায়ক মূল্য লুট করা হয়েছে। রেশন বণ্টন দুর্নীতির মামলায় অন্যতম অভিযুক্ত বাকিবুরের সঙ্গে জ্যোতিপ্রিয়র বোঝাপড়াতেই কোটি কোটি টাকা লুট করা হয়েছে বলেও এ দিন আদালতে দাবি করেন তদন্তকারীরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy