Advertisement
২৫ নভেম্বর ২০২৪
West Bengal Recruitment Case

নিয়োগ মামলায় এ বার ইডির নজরে তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ, সিজিও কমপ্লেক্সে তলব সোমে

নিয়োগ মামলায় জীবনকৃষ্ণের নাম আগেই জড়িয়েছিল। গত বছর সিবিআই গ্রেফতার করেছিল তাঁকে। তবে বর্তমানে তিনি জামিনে মুক্ত। সিবিআইয়ের মামলাতে জামিন পাওয়ার পরেই ইডি এই মামলায় তৎপর হয়।

ED summons TMC MLA Jiban krishna Saha on Monday

তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহা। — ফাইল চিত্র।

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৪ অগস্ট ২০২৪ ১১:০৬
Share: Save:

নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় এ বার ইডির আতশকাচের নীচে মুর্শিদাবাদের বড়ঞার তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহা। সোমবার তাঁকে সিজিও কমপ্লেক্সে তলব করেছে ইডি। সূত্রের খবর, নবম-দশম এবং একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগের তদন্তে জীবনকৃষ্ণকে জিজ্ঞাসাবাদ করতেই ডেকে পাঠানো হয়েছে। এর আগে এই একই মামলায় তাঁর স্ত্রী টগরী সাহাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে ইডি।

নিয়োগ মামলায় জীবনকৃষ্ণের নাম আগেই জড়িয়েছিল। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গত বছর সিবিআই গ্রেফতার করেছিল তাঁকে। তবে বর্তমানে তিনি জামিনে মুক্ত। সিবিআইয়ের মামলাতে জামিন পাওয়ার পরেই ইডি ‘বেআইনি লেনদেনে’র বিষয়ে তৎপর হয়। জীবনকৃষ্ণের ‘পুকুরে ছুড়ে ফেলা মোবাইল’ থেকে যে তথ্য পুনরুদ্ধার করা হয়েছিল, তাতে ‘টাকা ফেরতের’ প্রসঙ্গ রয়েছে বলে জানিয়েছিল সিবিআই। ফলে এই ঘটনার তদন্তে নামে ইডি। সেই সূত্র ধরেই জীবনকৃষ্ণকে তলব করা হয়েছে বলে খবর। এর আগে এই মামলায় তাঁর স্ত্রীকে সিজিওতে ডেকে পাঠিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল ইডি। ইডির একটি সূত্র থেকে জানা গিয়েছিল, জীবনকৃষ্ণের স্ত্রীর সম্পত্তি নিয়ে ‘খোঁজখবরের’ সূত্রেই তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিল।

গত বছরের ১৪ এপ্রিল জীবনকৃষ্ণের কান্দির বাড়িতে টানা তল্লাশি চালিয়েছিল সিবিআই। চলেছিল তৃণমূল বিধায়ককে জিজ্ঞাসাবাদ। অভিযোগ, সেই জিজ্ঞাসাবাদ এবং তল্লাশির ফাঁকে তাঁর ব্যবহার করা দু’টি মোবাইল ফোন বাড়ির পিছনে পুকুরের জলে ফেলে দিয়েছিলেন জীবনকৃষ্ণ। জল থেকে জীবনের ফোন খুঁজে বার করতে বেগ পেতে হয় তদন্তকারীদের। তার পর ১৭ এপ্রিল মধ্যরাতে কলকাতা থেকে সিবিআইয়ের আরও একটি দল কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে জীবনকৃষ্ণের কান্দির বাড়িতে পৌঁছয়। গ্রেফতার করা হয় তাঁকে।

লোকসভা ভোটপর্বের মাঝে গত ১৪ মে প্রেসিডেন্সি জেলে বন্দি জীবনকৃষ্ণের জামিনের আবেদন মঞ্জুর করেছিল সুপ্রিম কোর্ট। প্রায় ১৩ মাস পরে প্রেসিডেন্সি জেল থেকে জামিন পান বড়ঞার বিধায়ক। তার পরই নিয়োগ মামলায় ইডি ডেকে পাঠাল তাঁকে। উল্লেখ্য, এই একই মামলায় প্রসন্ন রায় এবং শান্তিপ্রসাদ সিংহকে ইডি গ্রেফতার করেছে।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy