রাজ্যের আইনমন্ত্রী মলয় ঘটক। — ফাইল ছবি।
রাজ্যের আইনমন্ত্রী মলয় ঘটককে আবার দিল্লিতে নিজেদের দফতরে তলব করল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। ২৭ জুন কয়লা পাচারকাণ্ডে তাঁকে দিল্লিতে ডাকা হয়েছে। মলয়ের পাশাপাশি কয়লা দুর্নীতি কাণ্ডে অন্যতম প্রধান অভিযুক্ত লালা ওরফে অনুপ মাজিকেও দিল্লিতে তলব করা হয়েছে। ২৮ জুন অনুপকে তলব করা হয়েছে।
গত সোমবার কয়লা পাচার মামলায় মলয়কে দিল্লিতে তলব করেছিল ইডি। ইডির দাবি, আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিভিন্ন জেলায় প্রচারে ব্যস্ত থাকায় তিনি তদন্তকারীদের মুখোমুখি হতে পারছেন না বলে আইনজীবী মারফত চিঠি দিয়ে মলয় জানিয়েছেন। যদিও সোমবার সকালে মুর্শিদাবাদে মলয় বলেন, ‘‘ইডি আজ ডেকেছে, এমন কোনও সমন নেই আমার কাছে।’’ কবে ডাকা হয়েছে, কবে তিনি ইডি-র সঙ্গে দেখা করবেন, সাংবাদিকদের ওই প্রশ্নে মলয়ের জবাব, ‘‘সেটা আপনাদের কেন বলব?’’
যদিও এর আগেও কয়লা পাচারকাণ্ডে মলয়কে একাধিক বার তলব করেছে ইডি। তাঁর বাড়িতে গিয়ে তল্লাশি করেছেন সিবিআই আধিকারিকরা। এমনকি, টানা জিজ্ঞাসাবাদও করা হয়েছে মন্ত্রীকে। তবে ইডির একাধিক বার তলবেও দিল্লি যাননি মলয়। গত বছরের সেপ্টেম্বরে কলকাতা থেকে আসানসোল মলয় ঘটকের একাধিক ঠিকানায় হানা দেয় সিবিআই। মন্ত্রীর কলকাতার ডালহৌসির সরকারি আবাসনেও তাঁকে টানা জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। বেশ কয়েক জন ইসিএল আধিকারিকের গ্রেফতারির পর মলয়ের বিরুদ্ধে কয়লা পাচার তদন্তে নামে সিবিআই।
অন্য দিকে, বাঁকুড়ায় অবৈধ ভাবে কয়লা তোলায় বাড়িঘর নষ্ট হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন সেখানকার কালিকাপুরের বাসিন্দারা। ওই কাজে মূল অভিযুক্ত হিসেবে আঙুল ওঠে অনুপ মাজি ওরফে লালার দিকে। অনুপের কলকাতা এবং পুরুলিয়ার বাড়িতে তল্লাশি চালায় ইডি। তাঁর সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার প্রক্রিয়া শুরু করে সিবিআই। সিবিআই সূত্রের দাবি, অনুপের কিছু নথি থেকেই তাঁর সঙ্গে মলয়ের যোগাযোগের সূত্র মিলেছে। তার পরেই কয়লা পাচারকাণ্ডে নাম জড়ায় মলয়ের।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy