Advertisement
০৫ নভেম্বর ২০২৪
Municipality Recruitment Scam

কোন পুরসভায় কী ভাবে, কত নিয়োগ? ‘দুর্নীতি’র তদন্তে পুরমন্ত্রী ফিরহাদের দফতরকে চিঠি দিল ইডি

শিক্ষায় নিয়োগ দুর্নীতিতে ধৃত অয়ন শীলের সল্টলেকের অফিসে তল্লাশি চালিয়ে বিভিন্ন পুরসভায় নিয়োগ সংক্রান্ত নথি উদ্ধার করেছিল ইডি। তার পরেই তদন্ত শুরু হয়। তদন্ত চালাচ্ছে সিবিআই-ও।

photo of Firhad hakim

মিউনিসিপ্যাল সার্ভিস কমিশন এবং পুর নগরোন্নয়ন দফতরকে চিঠি দিচ্ছে ইডি।  —ফাইল চিত্র।

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ৩০ মে ২০২৩ ১২:১৬
Share: Save:

রাজ্যে পুরসভায় নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগে তৎপর এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। এ বার রাজ্যের পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের দফতরে চিঠি দিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। কোন পুরসভায় কত নিয়োগ হয়েছে, তা জানতে চেয়ে মিউনিসিপ্যাল সার্ভিস কমিশন এবং পুর নগরোন্নয়ন দফতরকে চিঠি দিল ইডি। মঙ্গলবার এই খবর জানা গিয়েছে। পুর নগরোন্নয়ন দফতর রয়েছে রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের হাতে। এ বার পুরমন্ত্রীর দফতরে এই দুর্নীতির তদন্তে চিঠি পাঠাল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। ঘটনাচক্রে, মঙ্গলবারই নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সিজিও কমপ্লেক্সে ডেকে পাঠানো হয়েছে ‘কালীঘাটের কাকু’ ওরফে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রকে।

রাজ্যে শিক্ষায় নিয়োগ দুর্নীতিতে গ্রেফতার করা হয়েছে হুগলির প্রোমোটার অয়ন শীলকে। অয়নের সল্টলেকের অফিসে তল্লাশি চালিয়ে বিভিন্ন পুরসভায় নিয়োগ সংক্রান্ত নথি উদ্ধার করেছিল ইডি। ওই অফিস থেকে পুরসভার বিভিন্ন পদে চাকরিপ্রার্থীদের ওএমআর শিট (উত্তরপত্র) পাওয়া গিয়েছে বলেও দাবি করেছিলেন তদন্তকারীরা। ইডি মনে করছে, অয়নের সংস্থা যে সব উত্তরপত্রের মূল্যায়ন করেছে, সে সব ক্ষেত্রে দুর্নীতি হয়ে থাকতে পারে। কাঁচরাপাড়া, টাকি, দক্ষিণ দমদম, হালিশহর, বরাহনগর-সহ বহু পুরসভায় নিয়োগ সংক্রান্ত দুর্নীতিতে অয়ন জড়িত ছিলেন বলে দাবি করা হয়েছে। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় প্রায় ১০০০ জন চাকরিপ্রার্থীর কাছ থেকে অয়ন ৪৫ কোটি টাকা তুলেছেন বলে চার্জশিটে দাবি করেছে ইডি। পুর নিয়োগের জন্য চাকরিপ্রার্থীদের কাছ থেকে অয়ন ৩৫-৪০ কোটি টাকা তুলেছেন বলে ইডি সূত্রে খবর। বিভিন্ন পদে নিয়োগের ক্ষেত্রে দুর্নীতি হয়ে থাকতে পারে বলে সন্দেহ তদন্তকারীদের।

ইডির পাশাপাশি এই তদন্ত চালাচ্ছে সিবিআইও। পুরসভায় নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। সেই নির্দেশ পুনর্বিবেচনার আর্জি জানিয়েছিল রাজ্য। তাদের পুনর্বিবেচনার আর্জি খারিজ করে আগের নির্দেশ বহাল রাখেন বিচারপতি অমৃতা সিন‌্হা। সিঙ্গল বেঞ্চের সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করেই ডিভিশন বেঞ্চে যায় রাজ্য। গত সপ্তাহে এই মামলায় সিবিআই তদন্তে স্থগিতাদেশ দেয়নি বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু এবং বিচারপতি অপূর্ব সিন্‌‌হা রায়ের ডিভিশন বেঞ্চ। এই আবহে এ বার পুরসভায় নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে তৎপর হল ইডিও।

অন্য বিষয়গুলি:

Firhad Hakim ED Recruitment Scam
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE