ফাইল চিত্র।
কয়লাপাচার-কাণ্ডে আদালতের নির্দেশের ‘তথ্য বিকৃতি ও জালিয়াতি’র অভিযোগে কলকাতা পুলিশের বিরুদ্ধে এফআইআর করল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। যদিও কলকাতা পুলিশের পাল্টা দাবি, কোনও অসৎ উদ্দেশ্যে বা ‘ইচ্ছাকৃত’ ভাবে তা করা হয়নি।
কয়লা এবং গরুপাচার কাণ্ডে তদন্তকারী ওই কেন্দ্রীয় সংস্থাটির একটি সূত্রের দাবি, তদন্তকারী আধিকারিকদের কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহের জন্য কলকাতা পুলিশ আদালতের যে নির্দেশ তাদের কাছে পাঠিয়েছিল, তাতে ওই আধিকারিকদের ‘সম্মতি’র কথা বলা নেই। যদিও আদালতের ‘আসল’ নির্দেশে তা-ই বলা হয়েছে। অভিযোগ, আদালতের ‘আসল’ নির্দেশকে বিকৃত করেছে কলকাতা পুলিশ।
প্রসঙ্গত, ২০২১ সালে ইডি আধিকারিকদের সঙ্গে এক ব্যবসায়ীর তথাকথিত কথোপকথনের একটি অডিয়ো টেপ প্রকাশ্যে আসে। তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে আলোচনায় ওই ব্যবসায়ীর দাবি ছিল, অভিষেকের কাছে কয়লা খাদানের জন্য টাকা আসে। ওই অডিয়ো টেপের বিরুদ্ধে ইডি-কে আদালতে টেনে নিয়ে যান অভিষেক। নিম্ন আদালতে মানহানির মামলা করেন তিনি। যদিও ইডি আধিকারিকদের কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহ করার জন্য কলকাতা পুলিশকে নির্দেশ দেয় আদালত। সেই নির্দেশ ইডি-কে পাঠিয়েছিল কলকাতা পুলিশ।
তবে একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমে ইডি সূত্রের দাবি, ‘‘বিভিন্ন মাধ্যমের সাহায্যে তাঁদের কাছে আদালতের যে নির্দেশ পাঠানো হয়েছিল তাতে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের উল্লেখ করা ছিল না। তা হল, ইডি আধিকারিকদের ‘সম্মতি’। যদিও আদালতের নির্দেশের আসল প্রতিলিপিতে তা বলা হয়েছে। এটি আদতে জালিয়াতির শামিল।’’ তবে কলকাতা পুলিশের পাল্টা দাবি, জি আর বিভাগ থেকে আদালতের যে নির্দেশনামা সংগৃহীত করা হয়েছিল, সেটিই ইডি-কে পাঠানো হয়েছিল। তবে খতিয়ে দেখার সময় দেখা যায় যে নির্দেশনামায় একটি লাইন নেই। এবং সেটি দ্রুত আদালতের গোচরে আনা হয়েছে। এবং গোটা বিষয়টি ইডি-কে জানানো হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy