Advertisement
E-Paper

জমি লুটের চক্রের ‘মাথা’ জব্বার, দাবি

এক গ্রামবাসীর দখল হওয়া জমি আদালতের নির্দেশে ফিরিয়ে দিতে শনিবার তোড়জোড় চলছিল প্রশাসনের পক্ষ থেকে।

সীমান্ত মৈত্র   , নির্মল বসু

শেষ আপডেট: ৩০ ডিসেম্বর ২০২৪ ১০:২২
Share
Save

ভাইপো শেখ শাহজাহান জেলে। তাঁর হয়ে তাঁর কাকা শেখ জব্বার কি সন্দেশখালিতে ছড়ি ঘোরাচ্ছেন? আদালতের নির্দেশ মতো শনিবার সন্দেশখালির এক ব্যক্তির ‘দখল’ হওয়া জমি ফেরাতে গিয়ে মধ্য পঞ্চাশের জব্বারের ‘শাসানিতে’ প্রশাসনের লোকজন ফেরার পরে এ প্রশ্ন বড় হয়ে উঠেছে। শনিবারের ওই ঘটনায় জব্বারের বিরুদ্ধে পুলিশ পদক্ষেপ করেনি। জেলা পুলিশের এক কর্তার দাবি, জব্বারের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ হয়নি। তবে সন্দেশখালি ১ ব্লক ভূমি সংস্কার দফতর আগেই জানায়, আদালতের নির্দেশ পালনে বাধা দেওয়া হয়। রিপোর্ট আদালতকে জানানো হবে।ঘটনায় ফের পুলিশ-প্রশাসনকে বিঁধেছে বিরোধীরা।

গ্রামবাসীদের একটা বড় অংশের দাবি, চলতি বছরের ৫ জানুয়ারির (সে দিন রেশন বণ্টন দুর্নীতির তদন্তে শাহজাহানের বাড়িতে গিয়ে আক্রান্ত হয় ইডি) আগে পর্যন্ত আকুঞ্জিপাড়ার বাসিন্দা জব্বারই ছিলেন শেখ শাহজাহানের জমি এবং মেছোভেড়ি লুটের চক্রের ‘মাথা’। মূলত, যে সব জমির নথিপত্রে ত্রুটি থাকত, সে সব জমিকে নিশানা করতেন তিনি। মালিকদের থেকে জোর করে সেই জমি কেড়ে নেওয়া হত বলে অভিযোগ। এ ছাড়া, যে সব জমির মালিক কর্মসূত্রে বাইরে থাকেন, তাঁদের জমিজমাও ‘হাতানো’ হত।

একাধিক গ্রামবাসীর দাবি, ‘‘এলাকায় কেউ ভিটে, দোকানঘর বিক্রি করতে চাইলে, জব্বারকে টাকা দিতে হত। জমির ক্ষেত্রে ক্রেতা-বিক্রেতা দু’পক্ষকেই তোলা দিতে হত।’’ প্রতিবাদ আন্দোলন জোরদার হওয়ার পরে, কিছু দিন জব্বার চুপচাপ ছিলেন। ফের তাঁকে স্বমহিমায় দেখা যাচ্ছে, এমন দাবিও রয়েছে।

এক গ্রামবাসীর দখল হওয়া জমি আদালতের নির্দেশে ফিরিয়ে দিতে শনিবার তোড়জোড় চলছিল প্রশাসনের পক্ষ থেকে। অভিযোগ, সীমানা-খুঁটি পোঁতার সময় জব্বার লোকজন নিয়ে এসে হুমকি দিয়ে সকলকে এলাকাছাড়া করেন। অভিযোগ, আঙুল তুলে শাসানি দেন, ‘‘সন্দেশখালিতে কোনও আইন চলবে না। এখানে শেষ কথা—শাহজাহান।’’

কী করে জব্বার সাহস পাচ্ছেন? সিপিএমের উত্তর ২৪ পরগনা জেলা কমিটির সম্পাদক মৃণাল চক্রবর্তীর দাবি, ‘‘শাহজাহানকে লোক দেখানো গ্রেফতার করা হয়। সকলে একে একে জামিন পাচ্ছে।তাই পুলিশ শাহজাহান অনুগামীদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ করতে সাহস করছে না।’’ বিজেপির রাজ্য কমিটির সদস্য তাপস মিত্র বলেন, ‘‘শেখ শাহজাহানের পরিবার আগের মতো সন্ত্রাস চালাচ্ছে। পুলিশ-প্রশাসন যদি চোখ বুজে থাকে, তা হলে মানুষ ওদের বিরুদ্ধে পথে নামতে বাধ্য হবেন।’’

এ নিয়ে জব্বার মন্তব্য করতে চাননি। সন্দেশখালির তৃণমূল বিধায়কসুকুমার মাহাতো বলেন, ‘‘যারা আদালতের নির্দেশের মান্যতা দেবেনা, তাদের বিরুদ্ধে আদালত উপযুক্তব্যবস্থা নেবে।’’ তবে এলাকাবাসীর একাংশ চান, আজ, সোমবার সন্দেশখালির প্রশাসনিক সভা থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শাহজাহান ও তাঁর দলবলের বিরুদ্ধে বার্তা দিন।

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

sandeshkhali

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:

Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy

{-- Slick slider script --}}