শাহজাহান শেখ। — ফাইল চিত্র।
তৃণমূলের বহিষ্কৃত নেতা শাহজাহান শেখ এবং তাঁর সঙ্গে সম্পর্কিত ১২.৭৮ কোটি টাকার সম্পত্তি প্রাথমিক ভাবে বাজেয়াপ্ত করেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। সন্দেশখালি, সরবেরিয়া এবং কলকাতায় রয়েছে সে সব জমি, ফ্ল্যাট, ভেড়ি।
মঙ্গলবারই সন্দেশখালি মামলার তদন্তভার সিবিআইয়ের হাতে তুলে দিয়েছে কলকাতা হাই কোর্ট। প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের ডিভিশন বেঞ্চ মঙ্গলবার এই নির্দেশ দিয়েছে। মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৪টের মধ্যেই ধৃত শাহজাহানকে কেন্দ্রীয় সংস্থার হাতে তুলে দেওয়ারও নির্দেশ দেয় হাই কোর্ট। তার পরেই মঙ্গলবার বিকেলে শাহজাহানকে হেফাজতে নিতে ভবানী ভবনে পৌঁছন সিবিআইয়ের আধিকারিকেরা। তদন্তের কাগজপত্রও তাঁদের হাতে নেওয়ার কথা ছিল। যদিও শেষ পর্যন্ত শাহজাহানকে ছাড়াই বেরিয়ে যান সিবিআই আধিকারিকেরা। হাই কোর্টের নির্দেশের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছে রাজ্য সরকার। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সে কারণেই শাহজাহানকে সিবিআই হেফাজতে তুলে দেয়নি পুলিশ।
গত ৫ জানুয়ারি রেশন ‘দুর্নীতি’ মামলায় সন্দেশখালিতে শাহজাহানের বাড়িতে তল্লাশি চালাতে গিয়েছিল ইডি। সেখানে ইডি আধিকারিকদের উপর হামলা হয়েছিল। তার পর থেকেই নিখোঁজ শাহজাহান। ওই ঘটনায় ন্যাজাট থানায় তিনটি এফআইআর দায়ের হয়। একটি করে ইডি, একটি রাজ্য পুলিশ স্বতঃপ্রবৃত্ত হয়ে করে। তৃতীয় এফআইআর করেন শাহজাহানের বাড়ির এক কেয়ারটেকার। আগাম জামিনের আবেদন নিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হন শাহজাহান। ফেব্রুয়ারির শুরুতে শাহজাহানের গ্রেফতারির দাবি জানিয়ে সন্দেশখালিতে বিক্ষোভ শুরু হয়। সামনের সারিতে ছিলেন মহিলারা। তাঁরা শাহজাহানের গ্রেফতারির দাবি জানান। তাঁর বিরুদ্ধে হেনস্থার অভিযোগ করেন। জমি জবরদখলের অভিযোগও আনা হয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। ৫৫ দিন নিখোঁজ থাকার পর গ্রেফতার হন শাহজাহান। মিনাখাঁ থেকে শাহজাহানকে গ্রেফতার করে রাজ্য পুলিশ। তার পরেই তাঁকে ছ’বছরের জন্য সাসপেন্ড করে শাসকদল তৃণমূল। দলের সমস্ত পদ থেকে তাঁকে সরিয়ে দেওয়া হয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy