Advertisement
০৬ নভেম্বর ২০২৪
Garden Reach

আমিরের ২০০-র বেশি অ্যাকাউন্ট যুক্ত থাকতে পারে অ্যাপের মাধ্যমে প্রতারণায়, সন্দেহ ইডির

আমির খানের সম্পত্তি সংক্রান্ত তথ্য খতিয়ে দেখতে সল্টলেকের একটি অফিস-সহ বেশ কয়েকটি জায়গায় তল্লাশি চালিয়েছে কলকাতা পুলিশও।

গার্ডেনরিচের ব্যবসায়ী আমির খানের বাড়িতে হানা দিয়ে আগেই বিপুল অর্থ উদ্ধার করেছে ইডি।

গার্ডেনরিচের ব্যবসায়ী আমির খানের বাড়িতে হানা দিয়ে আগেই বিপুল অর্থ উদ্ধার করেছে ইডি। ছবি: সংগৃহীত।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২২ ২২:৪১
Share: Save:

অনলাইনে একটি গেমিং অ্যাপের মাধ্যমে আর্থিক প্রতারণা-কাণ্ডে অভিযুক্ত গার্ডেনরিচের ব্যবসায়ী আমির খানের দু’শোরও বেশি অ্যাকাউন্ট যুক্ত থাকতে পারে। এমন সন্দেহ করছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। ওই অ্যাকাউন্টগুলি ভুয়ো নামে নথিভুক্ত করা হয়ে থাকতে পারে বলেও মনে করা হচ্ছে।

এই মামলার তদন্তে নেমে বুধবার কলকাতা শহরের একাধিক জায়গায় পৃথক ভাবে তল্লাশি অভিযান চালায় ইডি এবং কলকাতা পুলিশ। এক দিকে, উত্তর কলকাতার বিকে পাল অ্যাভিনিউ থেকে দক্ষিণের বেহালা-সহ পাঁচটি জায়গায় অভিযান চালায় ইডি। অন্য দিকে, সল্টলেক-সহ একাধিক জায়গায় অভিযান করেছে কলকাতা পুলিশ।

ইডি সূত্রের খবর, অনলাইন গেমিং অ্যাপের প্রতারণা-কাণ্ডে আমিরের দু’শোর বেশি অ্যাকাউন্ট ভুয়ো নামে যুক্ত থাকতে পারে বলে তদন্তকারীদের সন্দেহ। অন্য দিকে, আমির খানের সম্পত্তি সংক্রান্ত তথ্য খতিয়ে দেখতে সল্টলেকের একটি অফিস-সহ বেশ কয়েকটি জায়গায় তল্লাশি চালিয়েছে কলকাতা পুলিশও। মূলত, ক্রিপ্টোকারেন্সিতে আমির যে বিপুল অর্থ বিনিয়োগ করেছিলেন, তার জন্য একাধিক অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করা হয়েছে বলে দাবি। ওই অ্যাকাউন্টগুলির তথ্যের সূত্র ধরেই তল্লাশি অভিযান চালানো হয়েছে বলে সূত্রের খবর।

সল্টলেকের একটি অফিস থেকে উদ্ধার হওয়া সিম বক্স।

সল্টলেকের একটি অফিস থেকে উদ্ধার হওয়া সিম বক্স। নিজস্ব চিত্র।

কলকাতা পুলিশের তদন্তকারীরা সল্টলেকের একটি অফিসের সার্ভার রুমের হদিস পেয়েছেন বলে সূত্রের খবর। যেখানে সিম বক্সের মতো একটি যন্ত্র পাওয়া গিয়েছে। সূত্রের দাবি, ওই যন্ত্রে ১,৯০০-এর বেশি সিম রাখা ছিল, যেগুলি আমিরের অ্যাকাউন্টগুলির সঙ্গে যুক্ত। ওই সিমগুলির মাধ্যমে স্বয়ংক্রিয় (অটোমেটিক) ওটিপি দিয়ে অ্যাকাউন্টগুলি চালু করা হত বলেও দাবি।

প্রসঙ্গত, এই মামলার তদন্তে নেমে ১০ সেপ্টেম্বর শহরের ছ’টি জায়গায় তল্লাশি অভিযান চালিয়েছিল ইডি। মেটিয়াবুরুজের পরিবহণ ব্যবসায়ী নিসার আলির ছোট ছেলে আমিরের বাড়িতেও তল্লাশি চালানো হয়েছিল। ওই অভিযানে আমিরের বাড়ি থেকে ১৭.৩২ কোটি টাকা উদ্ধার হয়েছিল। সে সময় আমির পলাতক থাকলেও পরে শুক্রবার রাতে উত্তরপ্রদেশের গাজিয়াবাদ থেকে গ্রেফতার করে কলকাতা পুলিশ। মঙ্গলবার ওই ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে তদন্তে নেমে ১৪ কোটি ৫৩ লক্ষ টাকা উদ্ধার করে তারা। অন্য দিকে, মঙ্গলবারই ক্রিপ্টোকারেন্সি এবং বিটকয়েন হিসাবে ব্যবহৃত আমিরের ১২.৮৩ কোটি টাকা বাজেয়াপ্ত করে ইডি। সূত্রের দাবি, ক্রিপ্টোকারেন্সিতে ওই বিপুল অর্থ বিনিয়োগ করতে ‘বিনান্স’ নামে একটি প্ল্যাটফর্মে তা বদল করা হয়েছিল।

অন্য বিষয়গুলি:

Garden Reach Money Laundering Scam Mobile App
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE