পুজোর বাজারে কিন্তু বালাই নেই স্বাস্থ্যবিধির। হাওড়ার মঙ্গলহাটে দীপঙ্কর মজুমদারের তোলা ছবি।
তৃতীয় ঢেউয়ের আশঙ্কা এখনও রয়েছে পুরো মাত্রায়। পুজোর সময় জেলা ও শহরের দর্শকদের মিশ্র ভিড়ে করোনার সংক্রমণ ঠিক কোন দিকে কতটা যাবে, সেই বিষয়ে নিশ্চিত করে কিছুই বলতে পারছেন না চিকিৎসক ও সংক্রমণ বিশেষজ্ঞেরা। তাই তাঁরা বার বার সতর্ক করছেন আমজনতাকে। চিকিৎসক মহলের বক্তব্য, করোনার মতো দ্রুত ছড়িয়ে পড়া ভাইরাস সুযোগের অপেক্ষায় থাকে। মানুষের ভিড় সেই সুযোগই করে দেয়। তাই সতর্ক থাকতে হবে, যাতে পুজোর পরে বড় বিপদের ধাক্কা না-আসে।
অতিমারির তৃতীয় ঢেউ আছড়ে পরতে পারে, এই আশঙ্কা করে পরিস্থিতি মোকাবিলায় চিকিৎসা পরিকাঠামোর উন্নয়নে জোর দিচ্ছে রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতর। বিভিন্ন হাসপাতালের পরিকাঠামো উন্নয়নে ইতিমধ্যে চার কোটিরও বেশি টাকা বরাদ্দ করেছে তারা। পাশাপাশি রাজ্য জুড়ে হার্ড ইমিউনিটি তৈরির লক্ষ্যে প্রতিষেধক প্রদানের সংখ্যাও বাড়ানোর প্রচেষ্টা জারি রয়েছে। সেই প্রচেষ্টার ফল হিসেবে এ বার ১৭ দিনে এক কোটি টিকা দিল রাজ্য। আর সেই সূত্রেই মঙ্গলবার রাত পর্যন্ত বঙ্গে টিকার জোড়া ডোজ় প্রাপকের সংখ্যা প্রবেশ করল ছ’কোটির ঘরে।
১৮ সেপ্টেম্বর রাজ্যে মোট টিকা প্রাপকের সংখ্যা পাঁচ কোটির ঘরে পৌঁছেছিল। সেটা সম্ভব হয়েছিল মাত্র ১৮ দিনের মধ্যে। এ বার তার থেকেও কম সময়ে এক কোটি টিকা দেওয়া হয়েছে বলে জানাচ্ছেন টিকাকরণের দায়িত্বে থাকা রাজ্যের অতিরিক্ত স্বাস্থ্য অধিকর্তা (পরিবার কল্যাণ) অসীম দাস মালাকার। তিনি জানান, গত ১৬ জানুয়ারি প্রথম টিকা দেওয়া শুরু হয়েছিল। প্রথম ১০৫ দিনে এক কোটি, তার ৫৪ দিনের মাথায় দু’কোটি, ৪০ দিনের মাথায় তিন কোটি, ২৯ দিন পরে অর্থাৎ ৩১ অগস্ট চার কোটির ঘরে পৌঁছেছিল রাজ্যে টিকার দু’টি ডোজ় প্রাপকের সংখ্যা। এ দিন রাত সওয়া ৮টা পর্যন্ত কোউইন পোর্টালের তথ্য অনুযায়ী রাজ্যে প্রথম ডোজ় পেয়েছেন চার কোটি ৩০ লক্ষ ৪০ হাজার ৫৪০ জন। দ্বিতীয় ডোজ় পেয়েছেন এক কোটি ৭৩ লক্ষ ছ’হাজার ৩৭৩ জন। শুধু এ দিন ন’লক্ষ ৬৬ হাজার জন টিকা নেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy