জোরকদমে: রঙের প্রলেপ ভগৎ সিংহ ক্রীড়াঙ্গণের মূল প্রবেশদ্বারে। রবিবার।
পশ্চিম বর্ধমান নতুন জেলা হয়ে ওঠার পরে প্রথম বার প্রশাসনিক বৈঠকে যোগ দিতে আজ, সোমবার দুর্গাপুরে আসছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার আগে রবিবার দুর্গাপুর জুড়ে প্রশাসনিক তৎপরতা ছিল তুঙ্গে।
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার দুপুরে কলকাতা থেকে হেলিকপ্টারে এসে সিটি সেন্টারের ভগৎ সিংহ স্টেডিয়ামে নামবেন মুখ্যমন্ত্রী। তার পরে যাবেন সৃজনী প্রেক্ষাগৃহে। নতুন জেলা তৈরির পরে গত ডিসেম্বরে মুখ্যমন্ত্রী কাঁকসার রঘুনাথপুরে জনসভা করেছিলেন। তবে সেই সময়ে আসানসোলের প্রশাসনিক বৈঠকে তিনি ছিলেন না। মুখ্যসচিব মলয় দে বৈঠক পরিচালনা করেন।
দিন কয়েক আগেই উত্তর দিনাজপুরের হেমতাবাদে পরিষেবা বিতরণের সভায় যাবতীয় নজরদারি এড়িয়ে মুখ্যমন্ত্রীর মঞ্চে উঠে এসেছিলেন এক তরুণী। আর মঞ্চের অন্য দিকের সিঁড়ি দিয়ে ওঠার চেষ্টা করে নিরাপত্তারক্ষীদের হাতে ধরা পড়েন ওই তরুণীর বোন। এই ঘটনার পরে পুলিশ-প্রশাসনের কর্তাদের প্রতি বিরক্তিও প্রকাশ করতে দেখা যায় মুখ্যমন্ত্রীকে। তবে দুর্গাপুরে মুখ্যমন্ত্রীর সফর ঘিরে নিরাপত্তা ব্যবস্থা আঁটসাঁট করা হয়েছে বলে কমিশনারেট জানায়। রবিবার সকালে স্টেডিয়ামে গিয়ে পুলিশ প্রশাসনের আধিকারিকেরা পুলিশ কুকুর নিয়ে নিরাপত্তা ব্যবস্থা খতিয়ে দেখেন। স্টেডিয়াম থেকে সৃজনী প্রেক্ষাগৃহ পর্যন্ত মুখ্যমন্ত্রী গাড়িতে আসবেন। সেজন্য রাস্তার দু’ধারে শালের খুঁটি পুঁতে ব্যারিকেড তৈরি করা হয়েছে। আসানসোল-দুর্গাপুরের পুলিশ কমিশনার লক্ষ্মীনারায়ণ মিনা জানান, মুখ্যমন্ত্রীর সফর ঘিরে কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
তৎপর পুলিশকর্মীরা।
প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, সোমবারের বৈঠকে রাজ্য প্রশাসন, জেলা প্রশাসন, পুলিশের কর্তারা যেমন থাকছেন, তেমনই থাকছেন বিধায়ক, জেলা পরিষদের সভাধিপতি, সহ-সভাধিপতি, কর্মাধ্যক্ষ, দুর্গাপুর ও আসানসোল পুরসভার মেয়র, মেয়র পরিষদ সদস্য ও পঞ্চায়েতের প্রতিনিধিরা থাকবেন। সব মিলিয়ে বৈঠকে থাকার কথা, মোট তিনশো জনের। মহকুমাশাসক (দুর্গাপুর) শঙ্খ সাঁতরা জানিয়েছেন, এই জন্য বিশাল সৃজনী প্রেক্ষাগৃহ ভাগ করে ছোট করে নেওয়া হয়েছে।
প্রায় দু’বছর পরে মুখ্যমন্ত্রী তথা দলনেত্রী শহরে আসবেন। তাই তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে আলাদা উৎসাহ তৈরি হয়েছে। প্রশাসনিক বৈঠক, সৃজনীতে প্রবেশের অনুমতি মিলবে না। তাই স্টেডিয়াম থেকে সৃজনী প্রেক্ষাগৃহে যাতায়াতের পথে দাঁড়িয়ে থেকে দলনেত্রীকে স্বাগত জানাবেন বলে ঠিক করেছেন তাঁরা। তবে মুখ্যমন্ত্রীকে স্বাগত জানাতে রবিবার যে সব ব্যানার শহরে লাগানো হয়েছিল সেগুলির, দৃষ্টিকটু ‘বানান ভুল’ নিয়ে সরব হন দলেরই একাংশ। দলীয় নেতৃত্ব তড়িঘড়ি সেগুলি বদলে ফেলার নির্দেশ দেন।
—নিজস্ব চিত্র
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy