চলছে প্রতিমার কাজ। দাড়িভিটে। নিজস্ব চিত্র
গত বছর দুর্গা পুজোর ঠিক আগেই শিক্ষক নিয়োগকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল দাড়িভিট হাইস্কুল। মৃত্যু হয়েছিল দুই কলেজ পড়ুয়ার। তাতে ফ্যাকাসে হয়ে গিয়েছিল পুজোর আনন্দ। পুজো বন্ধ রেখেছিল দাড়িভিট সংলগ্ন এলাকার ক্লাবগুলি। হয়নি দাড়িভিট মাঠপাড়া এলাকায় রাজেশদের বাড়ির উঠোনে হওয়া পুজোটিও। সেই ক্ষত এখনও শুকোয়নি। এখনও ওই ঘটনার কোনও তদন্ত হয়নি। তবে এ বার পুজো হচ্ছে দাড়িভিটে।
দাড়িভিট হাইস্কুল সংলগ্ন এলাকায় পুজো মণ্ডপ তৈরির কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। পুজোর বাজেট প্রায় তিন লক্ষাধিক টাকা বলে জানিয়েছেন পুজো উদ্যোক্তারা। সেই হিসেবে প্রস্তুতি নিচ্ছেন তাঁরা। মাঠপাড়া-সহ বেশ কিছু এলাকায় পুজোর কাজ শুরুও হয়ে গিয়েছে। দাড়িভিটে নিহত রাজেশদের বাড়ির সামনের পুজোর মণ্ডপের কাজও শুরু হয়ে গিয়েছে দু’তিন দিন হল। এলাকার এক যুবক পেশায় ব্যবসায়ী সুব্রত সরকার বলেন, ‘‘রাজেশদের বাড়ির সামনের পুজোটি ওঁদের পরিবারের লোক শুরু করেছিলেন। পরবর্তী কালে পাড়ার সবাই মিলে পুজো করা হয়।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘প্রতিবার পুজোয় সবচেয়ে বেশি যাঁরা উদ্যোগী হতেন তার মধ্যে ছিল রাজেশও। নিজে হাতে সবাই মিলে মণ্ডপ তৈরি করতাম। রাজেশ আর নেই। এক প্যান্ডেল ব্যবসায়ীকে বলা হয়েছে একটা ছাউনি দিয়ে পুজোর মণ্ডপ তৈরি করতে।
গত বছর অবশ্য প্রতিমা তৈরি করেও পুজো বন্ধ থাকায় চাপের মুখে পড়তে হয়েছিল প্রতিমা শিল্পীদের। দাড়িভিটের মাঠপাড়া সংলগ্ন এলাকার প্রতিমা শিল্পী লক্ষণ পাল, কুশ পাল বলেন, ‘‘গত বছর পুজোর আগে ওই কাণ্ড হওয়ায় পুজো বন্ধ হয়েছিল দাড়িভিটে। সব ক’টি মূর্তি তৈরি হয়ে গিয়েছিল। বাধ্য হয়ে কম দামে আশপাশের গ্রামের পুজোয় মূর্তি বিক্রি করি। এ বার দাড়িভিটের তিনটি পুজোর মূর্তি তৈরি করছি।’’
অপর দিকে দাড়িভিটে নিহত রাজেশ ও তাপসের মা-বাবা কেউ বাড়িতে ছিলেন না শুক্রবার। দুই পরিবারের সদস্যরা বিজেপির কর্মসূচিতে কলকাতায় গিয়েছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy