জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। —ফাইল চিত্র।
বেদম কাশি, সঙ্গে শ্বাসকষ্টের সমস্যা। জেলবন্দি ‘অসুস্থ’ মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে সুস্থ করতে বৃহস্পতিবার রাতেই অল্প পরিমাণে অক্সিজেন দিতে হল। শুক্রবার প্রেসিডেন্সি জেল সূত্রে এমনটাই জানা গিয়েছে।
তিনি যে ‘অসুস্থ’, আদালতে যাওয়া-আসার পথে তা বার বার জানিয়েছেন রেশন বণ্টন দুর্নীতি মামলায় ধৃত বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, যিনি ‘বালু’ নামেই সমধিক পরিচিত। রাজ্যের প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী ডায়াবিটিসেও আক্রান্ত। গ্রেফতার হওয়ার পর আদালতে তোলা হলেও হঠাৎই জ্ঞান হারিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন তিনি। তাঁকে কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। এই অবস্থায় কাশি এবং শ্বাসকষ্টের জেরে জেলের মধ্যেই মন্ত্রী অসুস্থ হয়ে পড়ায় উদ্বেগ তৈরি হয় জেলকর্মীদের মধ্যে। তবে জেল সূত্রে খবর, অক্সিজেন দেওয়ার পর কিছুটা সুস্থ হয়ে ওঠেন জ্যোতিপ্রিয়। তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করানোর প্রয়োজন হয়নি।
বৃহস্পতিবার অসুস্থতার কারণে সশরীরে আদালতে হাজিরা দিতে পারেননি রাজ্যের মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। ভার্চুয়াল মাধ্যমে তাঁকে আদালতে হাজির করানো হয়। শুনানি শুরু হতেই বিচারক তাঁর কুশল সংবাদ নেন। জিজ্ঞেস করেন, কী সমস্যা রয়েছে তাঁর। জ্যোতিপ্রিয় আর্তির সুরে বলেন, ‘‘স্যর, আমাকে বাঁচতে দিন।’’
শুনানির শুরুতেই বিচারক মন্ত্রীকে প্রশ্ন করেন, ‘‘কী সমস্যা হচ্ছে আপনার? যেখানে আপনি বসে রয়েছেন, আপনার কী সমস্যা হচ্ছে? সমস্যা হলে ওঁকে নিয়ে যেতে পারেন।’’ জবাবে জ্যোতিপ্রিয় বলেন, ‘‘৩৫০ সুগার। হাত-পা কাজ করছে না। বাঁচতে দিন।’’ জ্যোতিপ্রিয়ের আইনজীবীও বৃহস্পতিবার আদালতে জানান, তাঁর মক্কেল সুস্থ নন। কিডনি ক্ষতিগ্রস্ত। তৃতীয় পর্যায়ে রয়েছেন। সুপারকে প্রয়োজনীয় নির্দেশ দেওয়ার আবেদন জানান তিনি। খাট এবং টেবিল দেওয়ার আবেদনও করা হয়। বিচারক বলেন, ‘‘সেটা জেলের এক্তিয়ার।’’
স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য কিংবা আদালতে যাওয়ার জন্য বেরিয়ে বার বারই নিজের অসুস্থতার কথা জানিয়েছেন জ্যোতিপ্রিয়। নিজেকে ‘নির্দোষ’ দাবি করার পাশাপাশি, তিনি কতটা ‘অসুস্থ’, তা ধারাবাহিক ভাবে জানিয়ে গিয়েছেন তিনি। গত ১২ নভেম্বর ইডির দফতর সিজিও থেকে বেরিয়ে জ্যোতিপ্রিয় সাংবাদিকদের সামনে বলেন, ‘‘আমার বাঁ দিক গিয়েছে। বাঁ দিকে সবটাই গিয়েছে।’’ এর আগে ওই দিন সকালে যখন তাঁকে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছিল, ফেরার পথে তিনি জানান, তাঁর শরীরের এক দিক পক্ষাঘাতগ্রস্ত হয়ে পড়েছে। আদালতে যাওয়ার পথেও মন্ত্রী একই কথা বলেন। নিজে হাঁটলেও বাঁ হাত নাড়তে দেখা যায়নি তাঁকে। হাতটি নীচে নামিয়ে রেখেছিলেন তিনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy