বোমা মারার কথা বলে আগেই বিতর্কে জড়িয়েছেন। এ বার তৃণমূল নেতা অনুব্রত ওরফে কেষ্ট মণ্ডলের মুখে শোনা গেল তির ছোড়ার কথা!
তবে, দু’টি ক্ষেত্রে তাঁর হুমকির নিশানা আলাদা। বোমা ছুড়তে বলেছিলেন পুলিশের উপরে। আর তির বিঁধে দেওয়ার হুমকি তিনি দিয়েছেন সিপিএমের উদ্দেশে। হুমকি দিয়েছেন বর্ধমানের সেই আউশগ্রামে, সেখানে সম্প্রতি একটু হলেও মাথা তুলেছে সিপিএম। বেশ কিছু এলাকায় শাসকদলকে তারা সমানে সমানে টক্করও দিচ্ছে।
আর তা দেখেই প্রমাদ গুণছেন জেলার তৃণমূল নেতৃত্ব। সে জন্যই বীরভূম জেলা তৃণমূলের সভাপতি তথা বর্ধমানের তিন বিধানসভা কেন্দ্র আউশগ্রাম, কেতুগ্রাম ও মঙ্গলকোটে তৃণমূলের পর্যবেক্ষক অনুব্রতকে বারবার আউশগ্রামে আসতে হচ্ছে বলে তৃণমূল সূত্রের খবর। দু’সপ্তাহ আগেই তিনি আউশগ্রামের অভিরামপুরের এক সভায় সিপিএম কর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেছিলেন, ‘‘হুঁশিয়ারি দিচ্ছি, চোখ রাঙাবেন না, চোখ তুলে নেব!” এ দিনের সভায় তাঁর হুমকি, ‘‘সিপিএম কয়েক জনকে নিয়ে দাপাদাপি করছে। রাজনীতি করতে হল কর বন্ধু। কিন্তু পিছন থেকে ইট ছুড়লে, বুকে তির ছুড়ে দেব।’’ এখানেই শেষ নয়, উক্তি পিচকুরি হাইস্কুলের মাঠের সভায় তিনি বলেন, ‘‘সিপিএম চ্যাং-চিবুরি মাছের মতো লাফাচ্ছে। লাফানোর দরকার নেই। আমি টগরকে (আউশগ্রামের জেলা পরিষদ সদস্য টগর শেখ) বলব, ওই মাছগুলিকে ঢিল দিয়ে মেরে ফেলুন!’’
সিপিএম নেতাদের অবশ্য বক্তব্য, অনুব্রতর কাছে এই ধরনের মন্তব্যই প্রত্যাশিত। বিরোধীদের বিষ দিয়ে মারা বা কব্জি কেটে নেওয়ার মতো হুমকি তিনি আগেও দিয়েছেন। তবে বিধানসভা ভোটের আগে আউশগ্রামে তৃণমূল যে সিঁদুরে মেঘ দেখছে, তা ইদানীং বারবার এলাকায় এসে অনুব্রতর হুমকি দেওয়া থেকেই পরিষ্কার বলে সিপিএমের দাবি। দলের বর্ধমান জেলা সম্পাদক অচিন্ত্য মল্লিকের কথায়, ‘‘আমাদের সভা-মিছিলে লোক দেখে ভয় পেয়েছে বলে কুকথা বলছে। তবে ওঁর কথাকে গুরুত্ব দেওয়ার কিছু নেই।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy