Advertisement
E-Paper

নিউ টাউনে ইদের নমাজের স্থায়ী মাঠের খোঁজ

বছর তিনেক আগে প্রথম বার এনকেডিএ-র নিউ টাউন কমিউনিটি হলে নমাজ পড়ার ব‍্যবস্থা হয়। এর পরে অ‍্যাক্সিস মল সংলগ্ন মাঠ বা নিউ টাউন মেলার মাঠেও নমাজ পড়ার বন্দোবস্ত হয়েছে।

ফুটবল মাঠেই ইদের নমাজ পড়ার অনুমতি দিয়েছেন স্থানীয় কর্তৃপক্ষ।

ফুটবল মাঠেই ইদের নমাজ পড়ার অনুমতি দিয়েছেন স্থানীয় কর্তৃপক্ষ। —প্রতীকী চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ৩০ মার্চ ২০২৫ ০৯:৩৬
Share
Save

বছরের দু’টি সকাল। দু’টি আসর। কিন্তু ইদের নমাজ পড়ার একটি স্থায়ী মাঠের জন‍্য প্রতি ইদের আগেই স্থানীয় প্রশাসনের কাছে দরবার করতে হচ্ছে নিউ টাউনের মুসলিম সমাজের বাসিন্দাদের। এ বছর নিউ টাউন-কলকাতা উন্নয়ন পর্ষদের (এনকেডিএ) উল্টো দিকের ফুটবল মাঠেই ইদের নমাজ পড়ার অনুমতি দিয়েছেন স্থানীয় কর্তৃপক্ষ।

নিউ টাউনের এই তল্লাটে ইদের নমাজ অবশ‍্য একটি সম্মিলিত সামাজিক উদ‍্যোগ। বছরভর লেগেই থাকে নিউ টাউন সিটিজ়েন্স ওয়েলফেয়ার ফ্রেটারনিটির নানা কর্মকাণ্ড। বসন্ত উৎসব, নববর্ষ, একুশে ফেব্রুয়ারি, বার্ষিক ইফতার সভা, ইদের নমাজ, রবীন্দ্র-নজরুল জয়ন্তীতে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে থাকেন লুৎফর রহমান, মহম্মদ আব্দুল গফফার, দীপক বিশ্বাস, ইয়াসমিন রহমান, বন্দনা চক্রবর্তী, সমীর গুপ্তেরা। ইদের নমাজ শেষে সাধারণত সবাইকে সিমুই, শরবতে আপ‍্যায়নের বন্দোবস্ত করা হয়। এ বার ওয়েলফেয়ার কমিটির সঙ্গে নিউ টাউন সেকুলার ফোরামও ইদ উদ‌্‌যাপনের শরিক।

বছর তিনেক আগে প্রথম বার এনকেডিএ-র নিউ টাউন কমিউনিটি হলে নমাজ পড়ার ব‍্যবস্থা হয়। এর পরে অ‍্যাক্সিস মল সংলগ্ন মাঠ বা নিউ টাউন মেলার মাঠেও নমাজ পড়ার বন্দোবস্ত হয়েছে। কিন্তু নানা কারণে নমাজ পড়ার স্থায়ী ঠিকানা এখনও গড়ে ওঠেনি। এনকেডিএ সূত্রের দাবি, চেষ্টা চলছে বছরের দু’টি নমাজের স্থায়ী ঠিকানা খোঁজার। তবে সাধারণত যে কোনও সভা বা রেড রোডের নমাজের জন‍্যও আয়োজকদের প্রশাসনের কাছে অনুমতি নিতে হয়। এ বারও সেই রীতি মেনেই আয়োজন সম্পন্ন হয়েছে।

চৈত্র মাসের খর রোদে নমাজিদের একটু শান্তি দিতে বা আজকালকার বাংলার খামখেয়ালি আবহাওয়ার কথা মাথায় রেখে নমাজের
মাঠে শামিয়ানাও খাটিয়েছেন উদ্যোক্তারা। প্রতি বারের মতো থাকছে, ছেলেদের পাশে আলাদা ঘেরাটোপে মেয়েদেরও নমাজ পড়ার ব‍্যবস্থা। এই আয়োজনের অন‍্যতম উদ‍্যোক্তা গফফার বলছিলেন, “এর আগে আমাদের সল্টলেকে বা অন‍্যত্র ন’-দশ কিলোমিটার দূরে কিংবা এনকেডিএ-র এলাকার বাইরে নমাজ পড়তে যেতে হত! কাউকে আরও দূরে খিদিরপুর, রাজাবাজার বা নিজের দেশের বাড়ির গ্রামেও যেতে হয়েছে। নমাজের স্থায়ী মাঠ পেলে দুশ্চিন্তা কমবে। ইদের নমাজ একা বাড়ি বসে পড়তে ভাল লাগে না।”

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

eid Ramadan

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:

Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy

{-- Slick slider script --}}