Advertisement
১৮ নভেম্বর ২০২৪

বাম-সঙ্গের পক্ষেই মত জেলার কংগ্রেসের

বিধান ভবনে শুক্রবার সকাল থেকে রাত পর্যন্ত জেলা সভাপতিদের সঙ্গে দীর্ঘ বৈঠকে বসেছিলেন প্রদেশ কংগ্রেস নেতৃত্ব।

উত্তরপ্রদেশে প্রিয়ঙ্কা গাঁধীকে আটকানোর প্রতিবাদে প্রদেশ কংগ্রেস দফতরের সামনে নেতাদের প্রতিবাদ।

উত্তরপ্রদেশে প্রিয়ঙ্কা গাঁধীকে আটকানোর প্রতিবাদে প্রদেশ কংগ্রেস দফতরের সামনে নেতাদের প্রতিবাদ।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২০ জুলাই ২০১৯ ০০:৫৩
Share: Save:

লোকসভা ভোটে বিপর্যয় থেকে শিক্ষা নিয়ে বামেদের সঙ্গে যৌথ আন্দোলনের মঞ্চ গড়ে তুলতে চাইছে প্রদেশ কংগ্রেস। এ বার দলের জেলা কংগ্রেস সভাপতিদের সিংহ ভাগ একই মত দিলেন। এই পথে এগিয়ে যাওয়ার জন্য জেলা স্তরে সিপিএম-সহ বামেদের সঙ্গে সমন্বয় রাখতে দলীয় সভাপতিদের নির্দেশ দেওয়া হল প্রদেশ কংগ্রেসের তরফে।

বিধান ভবনে শুক্রবার সকাল থেকে রাত পর্যন্ত জেলা সভাপতিদের সঙ্গে দীর্ঘ বৈঠকে বসেছিলেন প্রদেশ কংগ্রেস নেতৃত্ব। দলের ২৮টি সাংগঠনিক জেলার মধ্যে ২৬টির সভাপতি বৈঠকে হাজির ছিলেন। অসুস্থতার কারণে দার্জিলিঙের শঙ্কর মালাকার এবং পারিবারিক শোকের দরুণ ঝাড়গ্রামের সুব্রত ভট্টাচার্য বৈঠকে ছিলেন না। এআইসিসি-র তরফে বাংলার ভারপ্রাপ্ত নেতা গৌরব গগৈ এবং সহ-পর্যবেক্ষক বি পি সিংহের উপস্থিতিতে জেলা সভাপতিরা মেনে নেন, বিজেপি ও তৃণমূলের বিরুদ্ধে গ্রহণযোগ্য বিকল্প সামনে রাখতে না পারার মাসুল লোকসভা ভোটে দিতে হয়েছে। কংগ্রেস এবং বামেরা আসন সমঝোতা করে লড়াই করতে পারলে ফল এত শোচনীয় হত না। এমনকি, ভোটের আগে জোটের বিরোধিতা করা উত্তর দিনাজপুর জেলার সভাপতি মোহিত সেনগুপ্তও এ দিন বাম-সঙ্গের প্রয়োজনীয়তার কথা বলেছেন।

কংগ্রেস সূত্রের খবর, বৈঠকের শুরুতে ইংরেজি ও বাংলায় পাওয়ারপয়েন্ট-এ রাজনৈতিক ও সাংগঠনিক প্রশ্নে প্রদেশ নেতৃত্বের বক্তব্য বুঝিয়ে দেওয়া হয় জেলা সভাপতিদের। তার পরে কয়েক ঘণ্টা ধরে জেলা সভাপতিরা তাঁদের মতামত দেন। বৈঠকে বিরতির অবসরে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্র এ দিন বলেন, লোকসভা ভোটে নিজেদের জোরে লড়াই করতে গিয়ে মাত্র ৫.৫% মানুষের সমর্থন পাওয়া গিয়েছে! তাঁর কথায়, ‘‘বামেদের সঙ্গে আন্দোলনের যৌথ মঞ্চ গড়ে তুলতে হবে, এই বিষয়ে সকলে একমত। তবে নির্বাচনের অনেক আগেই এই মঞ্চ গড়তে হবে। শুধু ভোটের সময়ে আঁতাঁত করলে মানুষ সুবিধাবাদী রাজনীতি ভাবেন।’’

জেলায় জেলায় সংগঠনের হাল কেমন, তারও প্রাথমিক হদিশ নেওয়া হয়েছে এ দিনের বৈঠকে। যে জেলা সভাপতিরা দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হবেন, তাঁদের পদ ছেড়ে দেওয়ার বার্তাও দেওয়া হয়েছে। তবে রদবদলের সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে এআইসিসি-র পরামর্শ নিতে হবে প্রদেশ কংগ্রেসকে। উত্তরপ্রদেশে সোনভদ্রে যাওয়ার পথে প্রিয়ঙ্কা গাঁধী বঢরাকে পুলিশি বাধার প্রতিবাদে প্রদেশ কংগ্রেস দফতরের ফটকেই এ দিন বিক্ষোভ দেখান গৌরব, সোমেনবাবু, প্রদীপ ভট্টাচার্যেরা।

বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নান ‘নিরাপত্তার অভাবে’র কথা বলে ইদানীং প্রদেশ কংগ্রেসের বৈঠকে যান না। বিধান ভবনে এ দিনের বৈঠকের পরে এআইসিসি নেতা গৌরব চেয়েছিলেন মান্নানের সঙ্গে কথা বলতে। কিন্তু মান্নান তাঁর কাছে অভিযোগ করেন, মৌলালির মোড়ে বিক্ষোভ দেখিয়ে ফেরার পরে যুব কংগ্রেস সভাপতকি শাদাব খানের অনুগামীদের উপরে চড়াও হয়েছেন রোহন মিত্রের সমর্থকেরা। তাতে কয়েক জন আহত হয়েছেন। যুব কংগ্রেসেই এমন কাণ্ড চললে বিরোধী দলনেতা আর কথা বলে কী করবেন?

এবার শুধু খবর পড়া নয়, খবর দেখাও।সাবস্ক্রাইব করুনআমাদেরYouTube Channel - এ।

অন্য বিষয়গুলি:

Congress Left Front Bengal
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy