শুভেন্দু অধিকারী। —ফাইল ছবি।
সংখ্যালঘু প্রশ্নে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী যা বলেছেন, তার সঙ্গে সহমত নন শুভেন্দুর নিজের জেলার বিজেপি নেতারা। শুভেন্দু বৃহস্পতিবার বিকেলে নন্দীগ্রামে এসেছিলেন। সেখানেও কিন্তু তিনি বলেন, ‘‘সংখ্যালঘু ভাই-বোনেদের বলব, যাঁরা আমাদের সঙ্গে থাকবেন, আমরা তাঁদের সঙ্গে থাকব।’’
বুধবার রাজ্য বিজেপির কার্যকারিণী বৈঠকে শুভেন্দু বলেছেন, ‘‘যাঁরা আমাদের সঙ্গে থাকবেন, আমরা তাঁদের সঙ্গে থাকব। ‘সব কা সাথ সব কা বিকাশ’ বন্ধ করো।’’ সংখ্যালঘু মোর্চার প্রয়োজন নেই বলেও জানান শুভেন্দু।
বিজেপির সংখ্যালঘু মোর্চার কাঁথি সাংগঠনিক জেলার সভাপতি তৈমুর আলি বলছেন, ‘‘পরিশ্রম করে দলকে জয় এনে দিয়েছি। বিরোধী দলনেতার বক্তব্য কোনও ভাবেই সমর্থন করি না।’’ রাজ্য বিজেপির সংখ্যালঘু মোর্চার সাধারণ সম্পাদিকা মুক্তারন বিবিরও বক্তব্য, ‘‘শুভেন্দু কী বলছেন, তাতে কান দেওয়ার দরকার নেই।’’ তমলুক জেলা বিজেপির সংখ্যালঘু মোর্চার সভাপতি শেখ সাদ্দাম হোসেন জুড়ছেন, ‘‘বিজেপির জন্মলগ্নে যে তিন জন সাধারণ সম্পাদক ছিলেন, তাঁদের মধ্যে সংখ্যালঘু নেতাও ছিলেন।’’
২০২০ সালের ১৯ ডিসেম্বর তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে আসেন শুভেন্দু। তাঁর দেখাদেখি দল বদলান কাঁথির প্রাক্তন পুর-প্রতিনিধি জাভেদ আখতার থেকে শেখ আসপাকউদ্দিনরা। শুভেন্দুর মন্তব্যে তাঁরাও সহমত নন। ‘শান্তিকুঞ্জে’র প্রতিবেশী, কাঁথি জেলা বিজেপির সংখ্যালঘু মোর্চার সাধারণ সম্পাদক আসপাকউদ্দিনের দাবি, ‘‘শুভেন্দুদা নিজের ক্ষোভের কথা বলে ফেলেছেন। উনি সবাইকে সমান চোখে দেখেন। কাঁথিতে দু’এক জায়গায় আমাদের সম্প্রদায়ের লোকেরা বিজেপিতে ভোট দিয়েছেন, সে কথা শুভেন্দুদা বলেছেন। তবে গোটা রাজ্যে তা হয়নি।’’
তমলুক জেলা তৃণমূলের অন্যতম সহ-সভাপতি শেখ সুফিয়ানের কটাক্ষ, ‘‘ধর্মনিরপেক্ষ ভারতবর্ষে যে কোনও একটি সম্প্রদায়কে তোষণ করে ভোটে জেতা যায় না, তা লোকসভা ভোটে উত্তরপ্রদেশ দেখিয়েছে। এ রাজ্যে শুভেন্দু অধিকারী মুসলিমদের যে ভাবে গালিগালাজ করেছেন, তাতেই তাঁরা ঐক্যবদ্ধ ভাবে বিজেপির বিরুদ্ধে ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy