—প্রতীকী ছবি।
একটি অরাজনৈতিক সংস্থার উদ্যোগে গত বছর রবীন্দ্র জয়ন্তীর দিন বাংলায় এসেছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। সায়েন্স সিটি প্রেক্ষাগৃহে সেই অনুষ্ঠানে ‘জয় শ্রী রাম’ ধ্বনি ওঠায় বিতর্ক তৈরি হয়েছিল। সেই বিতর্ক জিয়ে রইল এই বছরও। রবীন্দ্র জয়ন্তী উপলক্ষে কেন্দ্রীয় সংস্কৃতি মন্ত্রকের সহযোগিতায় ‘বঙ্গীয় সনাতনী সংস্কৃতি’ পরিষদ আয়োজিত একটি আলোচনা সভার বিষয় ছিল, ‘বঙ্গ জীবনে শ্রীরাম: শশাঙ্ক থেকে রবীন্দ্রনাথ’। রবীন্দ্রনাথের সঙ্গে শশাঙ্ক কিংবা রামকে জুড়ে দেওয়া কতটা সঙ্গত, সেই প্রশ্ন তুলে সরব হয়েছে তৃণমূল ও সিপিএম।
আইসিসিআর প্রেক্ষাগৃহের সত্যজিৎ রায় কক্ষে বুধবার এই আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন জগন্নাথ দাশগুপ্ত, রাকেশ দাস প্রমুখ। আয়োজকদের পক্ষে প্রবীর ভট্টাচার্য বলেন, “ভারতীয় সংস্কৃতির সামাজিক ও মানবিক ধারায় রাম কয়েক শতাব্দী জুড়ে বিদ্যমান। ষষ্ঠ শতাব্দীতে যখন শশাঙ্কের মাধ্যমে বাঙালিয়ানার সূচনা হচ্ছিল, তখন রামায়ণের কিছু নমুনা পাওয়া যায়। আবার মধ্যযুগে তুলসীদাসের রচনায় রামায়ণের বর্ণনা পাওয়া যায়। পরবর্তীতে সপ্তদশ ও অষ্টাদশ শতাব্দীতে রবীন্দ্রনাথের লেখাতেও রামের প্রভাব একই রকম ভাবে ছিল। রাম যে নেই, এই অসার ধারণার বিরুদ্ধে বার্তা দিতে তাই আমরা রবীন্দ্রজয়ন্তীকেই বেছে নিলাম।”
যদিও তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষের অভিযোগ, “রবীন্দ্রনাথকে অপমান করা হয়েছে। রবীন্দ্র জয়ন্তী পালনের জন্য রবীন্দ্রনাথের সৃষ্টিই যথেষ্ট। তার বদলে সব কিছুতে রামকে টেনে আনার চেষ্টা অনুচিত।” সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তীর বক্তব্য, “রবীন্দ্রনাথ সাম্প্রদায়িকতা, স্বৈরাচার, আগ্রাসনের বিরোধী। তাই তাঁকে বিজেপি-আরএসএস সহ্য করতে পারে না। শশাঙ্ক-রামকে টেনে এনে রবীন্দ্রনাথের বিশ্ব-মনীষাকে খাটো করছে বিজেপি।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy