বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ। ফাইল চিত্র।
গরুপাচার মামলায় ধৃত অনুব্রত মণ্ডলের পাশেই যে তৃণমূল কংগ্রেস আছে, বুধবার আরও এক বার কার্যত সেই বার্তাই দিলেন রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। তিনি বলেন, ‘‘অনুব্রত এখনও এক জন অভিযুক্ত। এতে তৃণমূলের সমস্যার কী আছে! দোষ প্রমাণ হলে দেখা যাবে।’’
ধৃত তৃণমূল নেতাকে মঙ্গলবার রাতে দিল্লি নিয়ে যাওয়ার পর থেকে এ নিয়ে নতুন করে তরজা শুরু হয়েছে শাসক ও বিরোধীদের। বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ কটাক্ষ করে বলেছেন, ‘‘অনুব্রতকে দিল্লিতে লাড্ডু খাওয়ানো হবে।’’ সেই প্রসঙ্গে চন্দ্রিমা এ দিন বলেন, ‘‘এক জন অভিযুক্ত সম্পর্কে এ সব কথা বলা গৌরবের কিছু নয়। তাঁর দোষ প্রমাণ হয়নি। মানুষকে শ্রদ্ধা করতে শিখুন। ওঁরও (দিলীপ ঘোষ) অনেক ব্যাপার আছে। উনিও কখন কোথায় লাড্ডু, লস্যি খেতে যাবেন, জানি না।’’ সেই সূত্রেই মন্ত্রীর আরও মন্তব্য, ‘‘অনুব্রত এখনও বিচারের প্রক্রিয়ার মধ্যে আছেন।’’
এ দিনও তৃণমূলকে বিঁধে সরব ছিলেন দিলীপ। মেদিনীপুরে হোলির একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি এ দিন বলেন, ‘‘আরও অনেক লোক ধরা পড়া বাকি আছে। এক জন গিয়েছে। আস্তে আস্তে লাইন হবে!’’ জবাবে তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, ‘‘দিলীপবাবুর দলিল নিয়োগ মামলায় ধৃতের বাড়িতে পাওয়া গেছে। সেই সূত্রে তাঁরও এই মামলায় অন্তর্ভুক্ত হওয়া উচিত। নারদ-সারদা মামলায় শুভেন্দু অধিকারীরও তা-ই। অথচ বিজেপিতে আছেন বলে তাঁরা বাইরে। ফলে সিবিআই, ইডি-র গ্রেফতার নিয়ে ওঁদের কথা বলার কী মুখ আছে?’’
সদ্য অনুষ্ঠিত সাগরদিঘির উপনির্বাচন নিয়েও তৃণমূলকে কটাক্ষ করেছেন খড়্গপুরের বিজেপি সাংসদ। তিনি বলেন, ‘‘এই সরকারের টাকা নেই, উন্নয়ন নেই। চাকরি নেই, ডিএ নেই, পেনশন নেই। মানুষ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের চালাকি ধরে ফেলেছেন।’’ এই প্রসঙ্গে আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকীর গ্রেফতারের কথাও আনেন তিনি।
কুণালের জবাব, ‘‘সাগরদিঘির ফল একটা বিচ্ছিন্ন ঘটনা। তবে এতদিন যা গোপন ছিল, সিপিএম, কংগ্রেস ও বিজেপির সেই অনৈতিক জোট সাগরদিঘিতে সামনে চলে এসেছে। এই জোটের ফল বিজেপি-সহ বিরোধীরা পরের নির্বাচনেই পাবেন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy