হিরণ চট্টোপাধ্যায়ের বিজেপি বিধায়কদের হোয়াট্সঅ্যাপ গ্রুপ ছাড়া প্রসঙ্গে মুখ খুললেন দিলীপ ঘোষ।
দলীয় বিধায়ক হিরণ চট্টোপাধ্যায়ের বিজেপি বিধায়কদের হোয়াট্সঅ্যাপ গ্রুপ ছাড়া প্রসঙ্গে মুখ খুললেন বিজেপি-র কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি তথা মেদিনীপুরের সাংসদ দিলীপ ঘোষ। বুধবার সকালে হিরণ ওই গ্রুপ ছাড়েন। তার পরেই দিলীপকে ওই বিষয়ে প্রশ্ন করা হয়। দিলীপ ঘটনাচক্রে তখন খড়্গপুরেই রয়েছেন।
হিরণকে নিয়ে প্রশ্নের জবাবে দিলীপ বলেন, ‘‘আমি হোয়াট্সঅ্যাপ গ্রুপ দেখি না। ওই রকম ১০টা গ্রুপ আছে। তাতে দুশো-তিনশো মেসেজ আছে। আমি কোনও গ্রুপ দেখি না। কোনও গ্রুপে আমি বিশ্বাস করি না!’’
পাশাপাশিই দিলীপ বলেন, ‘‘এ বিষয়টা জেলা সভাপতি দেখবেন।’’ দিলীপকে বলা হয়, হিরণ বিধায়কদের গ্রুপ ছেড়েছেন। তখন দিলীপ বলেন, ‘‘সেটা বিধায়কদের বিষয়। বিধায়কদের যিনি নেতা আছেন, তিনি দেখবেন। আমি একজন নির্বাচিত প্রতিনিধি। আমাকে পার্টি কর্মসূচি দেয়। আমি উপস্থিত থাকি। উনিও (হিরণ) নির্বাচিত প্রতিনিধি। পার্টির নিয়মনীতি মেনে চলা উচিত।’’ দিলীপ আরও বলেন, ‘‘উনি স্ট্যান্ডিং কমিটির মিটিংয়ে থাকেন। কালকে (মঙ্গলবার) ওঁকে বলা হয়েছিল। উনি বলেছেন, আমি স্ট্যান্ডিং কমিটির মিটিংয়ে আছি। সেটা ওঁর সঙ্গে জেলা (নেতৃত্ব) কথা বলে ঠিক করুক!’’
প্রসঙ্গত, হিরণ মঙ্গলবার বিধায়ক হিসাবে বিধানসভার স্ট্যান্ডিং কমিটির বৈঠকে ছিলেন। তা তিনি দলকে জানিয়েওছিলেন। যদিও দিলীপ-ঘনিষ্ঠদের দাবি, দিলীপকে এড়িয়ে যাওয়ার জন্য হিরণ কলকাতায় ওই বৈঠকে যোগ দিতে চলে গিয়েছিলেন। যা একেবারে উড়িয়ে দিচ্ছেন হিরণের ঘনিষ্ঠেরা। তাঁদের দাবি, এলাকার উন্নয়নের জন্যই বিধায়ক হিসেবে হিরণ বিধানসভার ওই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
হিরণই কি দিলীপকে বারবার এড়িয়ে যাচ্ছেন? দিলীপের জবাব, ‘‘আমাকে এড়ানোর কিছু নেই। পাবলিক ওঁকেও জিতিয়েছে। আমাকেও জিতিয়েছে। পাবলিকের সঙ্গে থাকবে হবে। পার্টির সঙ্গে থাকতে হবে। এটাই নিয়ম।’’ প্রসঙ্গত, হিরণ ওই গ্রুপ ছাড়ার পর বলেছেন, তিনি দিলীপের উপর ক্ষোভ থেকেই গ্রুপ ছেড়েছেন। কারণ, দিলীপ তাঁকে না জানিয়েই তাঁর বিধানসভা কেন্দ্রে মধ্যে বৈঠক করছেন। সভা করছেন। হিরণের আরও ক্ষোভ, তাঁকে রাজ্য বিজেপি কাজে লাগায়নি।
তাঁর সঙ্গে হিরণের কথা হবে কি না, সে প্রসঙ্গেও সরাসরি কোনও জবাব দেননি দিলীপ। বলেছেন, ‘‘আগেও কথা হয়েছে। এটা যাঁরা সংগঠনে যাঁরা দেখার তাঁরা দেখবেন। সংগঠনে কারা গ্রুপ বানিয়েছে, কাকে রেখেছে, তা চিন্তা করা উচিত!’’ হিরণ তৃণমূলে যোগ দিলে তিনি কি অবাক হবেন? এর জবাব খানিকটা ঠাট্টাচ্ছলেই দিয়েছেন বিজেপি-র প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি। তাঁর কথায়, ‘‘অবাক হওয়ার কী আছে! যে যা চায় বলতেই পারে। অনেকে বলতে পারে, দিলীপ ঘোষও তৃণমূলে যাচ্ছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy