বড়দিনের সময় এ ছবিই দেখা গিয়েছে দিঘায়। —নিজস্ব চিত্র।
বড়দিনের পর এ বার বর্ষশেষেও ভিড় টানতে শুরু করেছে দিঘা। ওমিক্রন সংক্রমণের আতঙ্ক সত্ত্বেও সপ্তাহান্তে বর্ষশেষের ছুটি কাটাতে সৈকতশহরের বিভিন্ন হোটেলে আগাম বুকিংয়ের চাহিদা বাড়ছে। চলতি বছরের শেষ দিন, শুক্রবার দিঘায় পর্যটকদের ভিড় উপচে পড়বে বলেই মনে করছেন এখানকার হোটেল ব্যবসায়ীরা। দিঘার পাশাপাশি শঙ্করপুর, মন্দারমণি বা তাজপুরের মতো সৈকতও কানায় কানায় ভরে উঠবে বলেও আশা করছেন তাঁরা।
ঘূর্ণিঝড় আমপান এবং ইয়াসের ঝাপটা সামলে দ্রুত ঘুরে দাঁড়ানোর ফলেই পর্যটকেরা ফের দিঘা বা মন্দারমণিমুখো হয়েছেন বলেই মনে করছেন হোটেল ব্যবসায়ীরা। সেই সঙ্গে চলতি বছরের শেষ দিন শুক্রবার হওয়ায় শনি ও রবিরার মিলিয়ে টানা তিন দিনের লম্বা ছুটি কাটাতেও অনেকেই ভিড় করছেন পূর্ব মেদিনীপুরের সমুদ্রতীরে। মুনাফার আশায় বুক বাঁধছেন হোটেল ব্যবসায়ীরা। দিঘা হোটেলিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশনের যুগ্ম সম্পাদক বিপ্রদাস চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘ইয়াসের পর যে ভাবে সেজে উঠেছে দিঘা, তা বহু পর্যটকেরই নজর কাড়ছে। বর্ষশেষে এবং নতুন বছরের শুরুতেই এখানকার হোটেলের ঘরগুলি পুরোপুরি ভরে উঠবে বলে আশা করছি। আগাম বুকিংও চলছে জোর কদমে।’’ বিপ্রদাসের দাবি, ‘‘বড়দিনে কানায় কানায় ভরে উঠেছিল দিঘা। সে দিন ৫০ হাজারেরও বেশি মানুষ এখানে এসেছিলেন। এ বার বছর শেষের দিনটি শুক্রবার হওয়ায় কাজ সেরে নিশ্চিন্তে তিনটে দিন ছুটি কাটাতে পারবেন অনেকে। তা ছাড়া, বছরের এ সময় দিঘার পরিবেশও বেশ মনোরম থাকে। তাই দিঘায় ভিড় বাড়বে বলেই আশায় রয়েছি আমরা।’’
বড়দিনে ভিড়ে ভিড়াক্কার ছিল দিঘা, মন্দারমণির মতো সমুদ্রতটগুলি। বর্ষশেষে উচ্ছ্বাসে ফের ভিড়ের দাপটে সংক্রমণ বাড়ার আশঙ্কা করছেন চিকিৎসকেরা। তবে মন্দারমণি হোটেল ব্যবসায়ী সংগঠনের সভাপতি দেবদুলাল দাস মহাপাত্র বলেন, ‘‘করোনা আবহে বেড়ানোর জন্য এক্কেবারে উপযুক্ত জায়গা মন্দারমণি। হোটেলগুলি খুব একটা ঘিঞ্জি নয়। তাই দূরত্ববিধি মেনে সমুদ্রস্নান সেরে এসে হোটেলে সময় কাটানো যথেষ্ট নিরাপদ।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy