সিপিএমের রাজ্য কমিটির বৈঠক। —নিজস্ব চিত্র।
বিজেপি বা তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে যেখানে তাদের সরাসরি লড়াইয়ের সম্ভাবনা বেশি, সেখানে তুলনায় ভাল ভোট মিলছে বামেদের। কিন্তু যেখানে বামেদের মূল প্রতিদ্বন্দ্বী বলে মানুষ মনে করছেন না, সেখানে বামেদের প্রচার-আন্দোলনে ভিড় হলেও ভোটে কোনও ফল মিলছে না। পঞ্চায়েত নির্বাচন এবং ধূপগুড়ি বিধানসভা কেন্দ্রের সাম্প্রতিক উপনির্বাচনের ফলাফলের প্রেক্ষিতে এই রকম আলোচনাই উঠে এল সিপিএমের রাজ্য কমিটিতে। যার নির্যাস, লড়াই দিতে হলে দ্বিতীয় স্থানে আসতেই হবে। তৃতীয় শক্তি হয়ে লড়াই চালানো কঠিন।
কেন্দ্র ও রাজ্যের দুই শাসক দলের বিরুদ্ধে লড়াই করার রণকৌশলই অবশ্য ধরে রাখছে বঙ্গ সিপিএম। দলের রাজ্য কমিটির দু’দিনের বৈঠকের প্রথম দিনে প্রারম্ভিক ভাষণে ফের সেই বার্তা স্পষ্ট করে দিয়েছেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম। সেই সঙ্গেই ঠিক হয়েছে, নিয়োগ-সহ দুর্নীতির নানা মামলায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কার্যকরী ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিতে আগামী ৫ অক্টোবর ইডি, সিবিআইয়ের আঞ্চলিক কার্যালয় সিজিও কমপ্লেক্সে ঘেরাও ও বিক্ষোভ সমাবেশ হবে। অর্থাৎ এই কর্মসূচি একই সঙ্গে তৃণমূল ও বিজেপির বিরুদ্ধে।
দলীয় সূত্রের খবর, ধূপগুড়িতে অন্যান্য বিষয়ের পাশাপাশি জাতিসত্তার নানা ভাগে বিভক্ত সমীকরণের সঙ্গে বামেরা এঁটে উঠতে পারেনি, এমন পর্যালোচনা বৈঠকে উঠে এসেছে। পঞ্চায়েত ভোটের ফল পর্যালোচনার রিপোর্টের ভিত্তিতে একাধিক জেলার নেতারা রাজ্য কমিটির বৈঠকের প্রথম দিনে বলেছেন, তৃণমূলের সঙ্গে সিপিএমের যেখানে মূল লড়াই, বিজেপি তুলনায় দুর্বল, সেখানে বহু কারচুপি বা সন্ত্রাসের মধ্যেও বামেরা অনেক ক্ষেত্রেই ২৫-৩০% ভোট পেয়েছে। বিজেপির মোকাবিলায় ষেখানে তৃণমূল তুলনায় পিছিয়ে, সেখানেও বামেদের ফল ভাল। কিন্তু যেখানে বিজেপি ও তৃণমূলের মধ্যেই লড়াই বলে মানুষের ধারণা, সেখানে সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের ভোট ওই দু’দলের মধ্যেই ভাগ হচ্ছে। দলের এক রাজ্য নেতার কথায়, ‘‘তৃতীয় থেকে দ্বিতীয় শক্তির জায়গায় সর্বত্র উঠে আসার জন্য আরও রাজনৈতিক ও সাংগঠনিক তৎপরতা দরকার।’’
সর্বভারতীয় বিরোধী জোট ‘ইন্ডিয়া’র প্রসঙ্গও বৈঠকে উঠেছিল বলে সিপিএম সূত্রের খবর। কিছু প্রতিনিধির মতে, কেন ‘ইন্ডিয়া’ জোট, তার পরিপ্রেক্ষিত দলের রাজ্য নেতৃত্ব ঠিকমতোই ব্যাখ্যা করছেন। কিন্তু একেবারে তৃণমূল স্তরে যেখানে মানুষের মতামত নির্মাণ হয়, সেখানে এই ব্যাখ্যার চেয়ে বেশি ‘দিল্লিতে দোস্তি, বাংলায় কুস্তি’র তত্ত্ব প্রভাব ফেলছে। প্রসঙ্গত, রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাত বন্ধ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে স্থায়ী উপাচার্য নিয়োগের দাবিতে এ দিনই শহরে মিছিল করেছে এসএফআই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy