রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে তাপমাত্রা কমেছে অনেকখানি। ফাইল চিত্র।
কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে অনেকটা কমল তাপমাত্রা। কোথাও ১০ ডিগ্রি তো কোথাও ১৭ ডিগ্রি— এক ধাক্কায় হু হু করে নামল পারদ। ঝড়বৃষ্টির কারণেই এই পারদপতন বলে মনে করা হচ্ছে। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তেই রবিবারের সর্বোচ্চ তাপমাত্রার সঙ্গে সোমবারের সর্বনিম্ন তাপমাত্রার অনেকটা ফারাক লক্ষ্য করা গিয়েছে।
আবহাওয়া দফতরের পরিসংখ্যান বলছে, রবিবার দুপুরে কলকাতার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৫.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সোমবার সকালে কলকাতায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা হিসাবে নথিভুক্ত হয়েছে ২৩.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। অর্থাৎ, কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে কলকাতায় এক ধাক্কায় ১২ ডিগ্রি তাপমাত্রার ফারাক দেখা গিয়েছে।
জেলার পরিসংখ্যানের দিকে চোখ রাখলে সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রার ব্যবধান আরও বৃদ্ধি পাচ্ছে। দেখা যাচ্ছে, ক্যানিংয়ে দুই তাপমাত্রার ফারাক প্রায় ১৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ ছাড়া, মেদিনীপুর, কলাইকুন্ডা, কাঁথি, দিঘা, পানাগড়, আসানসোলে ১৪ থেকে ১৫ ডিগ্রি করে তাপমাত্রার পার্থক্য লক্ষ করা গিয়েছে। সর্বোচ্চ এবং সর্বনিম্ন পারদের মধ্যে চোখে পড়ার মতো ব্যবধান বাঁকুড়া, ঝাড়গ্রাম এবং বর্ধমানে। রবিবার এই তিনটি এলাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল যথাক্রমে ৩৮.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস, ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সোমবার সকালে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা হয়েছে যথাক্রমে ২২ ডিগ্রি, ২১.৫ ডিগ্রি এবং ২০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। অর্থাৎ, ফারাক প্রায় ১৬ থেকে ১৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আগের সপ্তাহের সর্বোচ্চ তাপমাত্রার সঙ্গে সোমবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রার তুলনা টানলে দেখা যাবে এই সব জায়গায় ফারাক ১৫ থেকে ২০ ডিগ্রি সেলসিয়াসেরও বেশি।
উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতে সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রার ফারাক তুলনামূলক কম। দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, মালদহ, কালিম্পং, কোচবিহারে রবিবার থেকে সোমবার পর্যন্ত কোথাও ১০ ডিগ্রি কোথাও ৫ ডিগ্রি তাপমাত্রা কমেছে।
হাওয়া অফিস জানিয়েছে, উত্তরপ্রদেশ এবং ঝাড়খণ্ডের কাছে একটি ঘূর্ণাবর্ত অবস্থান করছে। তার ফলেই রাজ্যে ঝড়বৃষ্টির অনুকূল পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। শুক্রবার পর্যন্ত শুধু দক্ষিণবঙ্গে নয়, গোটা রাজ্যেই দফায় দফায় বৃষ্টি হতে পারে। এই বৃষ্টিপাতের ফলে বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছে। ঝড়বৃষ্টিতে গরমও কমেছে অনেকটা। তবে সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রার এতটা ব্যবধান সচরাচর দেখা যায় না।
কলকাতাতেও ইদানীং সকালের দিকে বেশ ঠান্ডা অনুভূত হচ্ছে। এমনকি, কোনও কোনও বাড়িতে ভোরের দিকে বন্ধ রাখতে হচ্ছে পাখাও। সপ্তাহ দুয়েক আগে এই শহরেই যে তাপপ্রবাহের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল, টানা কয়েক দিন তাপমাত্রা ছিল ৪০ ডিগ্রির বেশি, তা এখন বোঝার উপায় নেই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy