পঞ্চায়েত প্রধানের বাড়ির সামনে এই নলকুপ নিয়েই উঠেছে বিতর্ক। ছবি: দিলীপ নস্কর।
সরকারি টাকায় বাড়ির সামনে নলকূপ বসানোর অভিযোগ উঠল পঞ্চায়েত প্রধানের বিরুদ্ধে। দক্ষিণ ২৪ পরগনার নামখানা ব্লকের হরিপুর পঞ্চায়েতের তৃণমূল প্রধান বহ্নিবন্যা করের বিরুদ্ধে ওই অভিযোগ ওঠে। অথচ তাঁর বাড়ি থেকে ৫০ ফুট দূরেই একটি নলকূপ রয়েছে। অভিযোগ অস্বীকার করেছেন প্রধান।
প্রশাসন ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১৩ সালে মৎস্য দফতরের উদ্যোগে মৎস্যজীবী পরিবারের জন্য হরিপুর পঞ্চায়েতে চারটি নলকূপ বসানোর অনুমোদন হয়। প্রতিটি নলকূপ বসাতে প্রায় ২ লক্ষ টাকা খরচ ধরা হয়েছে। অভিযোগ, ওই টাকা দিয়ে উত্তর চন্দনপিঁড়ি গ্রামে বহ্নিবন্যা করের বাড়িতে নলকূপ বসানোর কাজ শুরু হয়েছে। অথচ পাশেই মহারাজগঞ্জ গ্রামে মান্নাপাড়া বা দেবনিবাস গ্রামে কোনও নলকূপ নেই। আধঘণ্টা হেঁটে জল সংগ্রহ করতে হয় গ্রামবাসীদের। উত্তর চন্দনপিঁড়ি গ্রামের বাসিন্দাদের একাংশের দাবি, নলকূপ যেখানে বসালে সবার উপকার হবে, সেখানেই বসানো হোক। এ নিয়ে সম্প্রতি ব্লক অফিসে অভিযোগও করেন তাঁরা। নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক এক গ্রামবাসী বলেন, মৎস্যজীবী পরিবারদের জন্য অনুমোদিত ওই নলকূপ পঞ্চায়েত প্রধান নিজের ক্ষমতাবলে নিজের বাড়ির সামনে বসাচ্ছেন। তবে বহ্নিবন্যা দেবীর দাবি, তাঁর প্রধান হওয়ার আগেই মৎস্য দফতর নলকূপ বসানোর অনুমোদন দেয়। তাঁর ব্যাখ্যা, “নলকূপ বসানোর জন্য জমি না পাওয়ায় আমার বাবা জমি দিয়েছিলেন। তিনিও মৎস্যজীবী। তাছাড়া বাড়ির ১০০ ফুট থেকে ১৫০ ফুট দূরে ওই নলকূপ হচ্ছে। দিন পনেরো আগে গ্রামবাসীদের সঙ্গে এ নিয়ে আলোচনাও করা হয়েছে।”
নামখানার বিডিও তাপস মণ্ডল বলেন, “আমি ওই নলকূপ বসানোর বিষয়ে অভিযোগ পেয়ে তদন্ত করতে লোক পাঠিয়েছিলাম। তদন্তে জেনেছি, অভিযোগ সত্যি। ওঁদের সে ব্যাপারে সতর্কও করেছি।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy