জাতীয় সড়কে আচমকা নিয়ন্ত্রণ হারাল পিচভর্তি ট্যাঙ্কার। খুলে বেরিয়ে গেল বাঁ দিকের চাকা। সেই অবস্থাতেই ট্যাঙ্কারটি ধাক্কা মারল উল্টো দিক থেকে আসা ট্যাক্সিকে। সেটি দু’টুকরো হয়ে ধাক্কা দিল একটি মোটরবাইকে। ইতিমধ্যে ট্যাঙ্কারটি ধাক্কা দিয়েছে আর একটি স্করপিও গাড়িকে। শেষমেশ পথচলতি মানুষই তাড়া করে ধরে ফেলেন ট্যাঙ্কারের চালককে।
রবিবার সকালে এমনই ঘটনার সাক্ষী হল হাওড়ার আন্দুল রোড। জখম হলেন চার মহিলা-সহ মোট ১১ জন। তাঁদের মধ্যে সাত জন স্করপিও-র যাত্রী, ট্যাক্সির দুই যাত্রী ও চালক, এক জন মোটরবাইক আরোহী। আহতদের স্থানীয় বেসরকারি হাসপাতাল ও নার্সিংহোমে ভর্তি করা হয়েছে। ট্যাক্সিচালকের অবস্থা আশঙ্কাজনক। ট্যাঙ্কারটি আটক করে তার চালককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
পুলিশ এবং স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, এ দিন সকাল সাড়ে ৯টা নাগাদ ট্যাঙ্কারটি আন্দুল রোড ধরে ৬ নম্বর জাতীয় সড়কের দিকে যাচ্ছিল। আন্দুল পূর্বপাড়ায় বাসস্ট্যান্ডের কাছে আচমকা সেটি নিয়ন্ত্রণ হারালে এই ঘটনা ঘটে। বিশাল বাহিনী এবং র্যাফ নিয়ে ঘটনাস্থলে যান হাওড়া জেলা পুলিশের পদস্থ কর্তারা। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, ঘটনাস্থলে আগে পুলিশ থাকত। কিন্তু এখন আর থাকে না।
এলাকার এক বাসিন্দা সমর সাহার কথায়, “আগেও দু’-একটি দুর্ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু পুলিশ কোনও ব্যবস্থা নেয়নি।” উত্তেজিত বাসিন্দারা অভিযোগ জানানোর সময়ে র্যাফ লাঠি চালায়। গোটা ঘটনার জেরে আন্দুল রোডে দেড় ঘণ্টা যান চলাচল বন্ধ ছিল।
হাওড়া জেলা পুলিশের অতিরিক্ত সুপার (গ্রামীণ) সুখেন্দু হীরা বলেন, “সিটি ও হাওড়া পুলিশের মধ্যে বিভাজন হওয়ার পর ট্র্যাফিক গার্ড নিয়ে সমস্যা হচ্ছিল, এটা ঠিকই। তবে আমরা খুব দ্রুত সমস্যা মিটিয়ে ট্র্যাফিক পুলিশ মোতায়েন করার চেষ্টা করছি।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy