Advertisement
০৫ নভেম্বর ২০২৪

জয়েন্টে জালিয়াতি, উধাও পরীক্ষার্থী

জালিয়াতি ধরা পড়ে গিয়েছিল। খবর দেওয়া হয়েছিল পুলিশেও। কিন্তু পুলিশ আসার আগেই কলেজ-কর্তৃপক্ষের নজর এড়িয়ে পালিয়ে গেল জয়েন্ট এন্ট্রান্সের এক ভুয়ো পরীক্ষার্থী। রবিবার ঘটনাটি ঘটে হুগলির গুপ্তিপাড়া সরোজমোহন ইনস্টিটিউটে। প্রশ্ন উঠেছে, জালিয়াত জেনেও পুলিশ না-আসা পর্যন্ত ওই যুবককে আটকে রাখার জন্য উপযুক্ত পাহারার ব্যবস্থা করা হয়নি কেন? কলেজ-কর্তৃপক্ষের বক্তব্য, ওই পরীক্ষার্থীর ব্যাপারে তথ্যাদি যাচাই এবং পুলিশকে জানানোর ফাঁকেই সে পালায়।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২১ এপ্রিল ২০১৪ ০২:৪৮
Share: Save:

জালিয়াতি ধরা পড়ে গিয়েছিল। খবর দেওয়া হয়েছিল পুলিশেও। কিন্তু পুলিশ আসার আগেই কলেজ-কর্তৃপক্ষের নজর এড়িয়ে পালিয়ে গেল জয়েন্ট এন্ট্রান্সের এক ভুয়ো পরীক্ষার্থী। রবিবার ঘটনাটি ঘটে হুগলির গুপ্তিপাড়া সরোজমোহন ইনস্টিটিউটে।

প্রশ্ন উঠেছে, জালিয়াত জেনেও পুলিশ না-আসা পর্যন্ত ওই যুবককে আটকে রাখার জন্য উপযুক্ত পাহারার ব্যবস্থা করা হয়নি কেন? কলেজ-কর্তৃপক্ষের বক্তব্য, ওই পরীক্ষার্থীর ব্যাপারে তথ্যাদি যাচাই এবং পুলিশকে জানানোর ফাঁকেই সে পালায়। পুলিশ দায় চাপিয়ে দিচ্ছে কলেজ-কর্তৃপক্ষের ঘাড়েই। তারা বলছে, সকাল থেকে দু’দফায় পরীক্ষা হয়েছে। প্রথম অর্ধের পরীক্ষার সময় বিষয়টি ধরা পড়া সত্ত্বেও তাদের কাছে অভিযোগ আসে সন্ধ্যায়। কলেজের গড়িমসিতেই যুবকটি পালিয়ে যায়। কলেজ-কর্তৃপক্ষ অবশ্য বিষয়টি এড়িয়ে গিয়েছেন।

ঠিক কী ঘটেছিল?

পশ্চিমবঙ্গ জয়েন্ট এন্ট্রান্স বোর্ড সূত্রের খবর, রবিবার, এ বারের জয়েন্ট এন্ট্রান্সের দ্বিতীয় দিনে ওই কেন্দ্রে পরীক্ষা দিতে আসে এক যুবক। কিন্তু অ্যাডমিট কার্ডের ছবির সঙ্গে ওই যুবকের মিল ছিল না। তা দেখেই সন্দেহ হয় নজরদারদের। অ্যাডমিট কার্ডে যে-সই ছিল, তার সঙ্গে যুবকটির সইও মেলেনি। রবিবার ছিল গণিত, পদার্থবিদ্যা ও রসায়নের পরীক্ষা। গণিত পরীক্ষার সময়েই ওই যুবককে দেখে সন্দেহ হয় এবং জিজ্ঞাসাবাদ শুরু হয়। দেখা যায়, বোর্ড-কর্তৃপক্ষের কাছে পেশ করা আসল পরীক্ষার্থীর তথ্যের সঙ্গে ওই যুবকের দেওয়া তথ্যের গরমিল প্রচুর। সল্টলেকে জয়েন্ট এন্ট্রান্স বোর্ডের অফিসের কন্ট্রোল রুমে খবর যায়। কন্ট্রোল রুমের নির্দেশে পরীক্ষা কেন্দ্র থেকে ভুয়ো পরীক্ষার্থীর দেওয়া তথ্য এবং একটি ছবি ই-মেল করে পাঠানো হয় বোর্ডের অফিসে। জয়েন্ট এন্ট্রান্স বোর্ডের চেয়ারম্যান ভাস্কর গুপ্ত বলেন, “আমাদের কাছে থাকা পরীক্ষার্থীর তথ্য এবং ছবির সঙ্গে এ দিন পরীক্ষা দিতে আসা প্রার্থীর দেওয়া তথ্য না-মেলায় নিশ্চিত হই যে, এই যুবক ভুয়ো পরীক্ষার্থী। ইনস্টিটিউটকে বলি, পুলিশে খবর দেওয়া হোক।”

ওই পরীক্ষার্থী যে ভুয়ো, সেই বিষয়ে নিশ্চিত হওয়ার পরে কলেজের অধ্যক্ষ গণেশ ঘোষ সন্ধ্যায় বলাগড় থানায় অভিযোগ করেন। কিন্তু গণিত পরীক্ষা শেষ হওয়ার পরে এবং পদার্থবিদ্যার পরীক্ষা শুরুর ফাঁকেই ওই যুবক বুঝে যায়, পুলিশে খবর দেওয়া হয়েছে। সুযোগ বুঝে সে কলেজ-কর্তৃপক্ষের নজর এড়িয়ে পালিয়ে যায়। জেলা পুলিশের এক কর্তা বলেন, “অভিযোগ পেয়েছি। ওই যুবককে ধরতে তল্লাশি চলছে। এর পিছনে কোনও চক্র আছে কি না, তা-ও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।”

শনিবার, জয়েন্ট এন্ট্রান্সের প্রথম দিনে আগরতলার উইমেন্স কলেজে রাহুল শর্মা নামে এক যুবককে অন্যের হয়ে পরীক্ষা দেওয়ার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে।

অন্য বিষয়গুলি:

examiner joint entarnce
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE