বনগাঁ এলাকার উন্নয়নের জন্য বিভিন্ন ফান্ড থেকে পাওয়া অর্থ ফেলে না রেখে খরচ করার জন্য পঞায়েত ও পঞ্চায়েত সমিতিগুলিকে পরামর্শ দিলেন উত্তর ২৪ পরগনার জেলা পরিষদের সভাধিপতি রহিমা মণ্ডল।
গত রবিবার বনগাঁ শহরে তৃণমূলের বনগাঁ উত্তর বিধানসভা কমিটির পক্ষ থেকে কর্মীদের নিয়ে আয়োজিত একটি পর্যালোচনা সভায় যোগ দিয়ে তিনি ওই মন্তব্য করেছেন। তাঁর কথায়, “বিভিন্ন ফান্ডের টাকা দ্রুত খরচ করে কাজ শেষ করে আমাদের সঙ্গে সহযোগিতা করুন। দলের পক্ষ থেকে চাপ এসেছে। দ্রুত কাজ শেষ না করলে দল ব্যবস্থা নেবে।” লোকসভা নির্বাচনের বনগাঁ উত্তর বিধানসভা কেন্দ্রে দলীয় ফলাফল নিয়ে আলোচনা করতেই এই সভা ডাকা হয়েছিল। পঞ্চয়েতের তরফে একশো দিনের কাজে গতি আনার কথা বলেছেন সভাধিপতি রহিমা। এর পাশাপাশি দলের কর্মীদের প্রতি তাঁর বার্তা, যারা দলতন্ত্রকে প্রশ্রয় দিচ্ছেন, তাঁদের চিহ্নিত করে কড়া নজর রাখতে হবে। সেই সঙ্গে এমন কোনও কাজ করা যাবে না, যাতে দলের ক্ষতি হয়।
সভায় উপস্থিত ছিলেন বনগাঁর নীলদর্পণ ব্লকের সভাপতি নন্দদুলাল বসু। তিনি কর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, “অনেক বুথেই বিজেপি প্রথম বা দ্বিতীয় হয়েছে। আপনারা বুথে বুথে ঘুরে জানুন, কারা এবং কেন আমাদের ভোট দেননি। তাঁদের সঙ্গে তাঁদের সমস্যার কথা আলোচনা করুন।” বনগাঁ উত্তর কেন্দ্রের বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস বলেন, “আগামী দিনে দলের পরিকাঠামো ঢেলে সাজা হবে। ২০১৫ সালে বনগাঁ পুরসভার নির্বাচন। ওই নির্বাচনকেই এখন আমরা পাখির চোখ করেছি।” এ বার লোকসভা নির্বাচনে বনগাঁ শহরে আশানুরুপ ফল হয়নি তৃণমূলের। যদিও বিশ্বজিৎবাবুর দাবি, গত চার বছরে বনগাঁ শহরের যথেষ্ট উন্নয়ন হয়েছে। কিন্তু সেই মতো ভোট পায়নি তৃণমূল। দলের কর্মীদের মানুষের সঙ্গে ভাল ব্যবহার করার অনুরোধ জানিয়েছেন বিধায়ক।
এই বিধানসভা কেন্দ্র থেকে প্রায় ৩০ হাজার ভোটের লিড পেয়েছেন তৃণমূল প্রার্থী। যা গত বিধানসভা ভোটের থেকে বেশি। পাশাপাশি এই বিধানসভা কেন্দ্র থেকে বিজেপি প্রার্থী প্রায় ৪১,০০০ ভোট পেয়েছেন। যা তৃণমূল নেতৃত্বের কাছে মাথাব্যথার কারণ। এ সভায় উপস্থিত ছিলেন বনগাঁর প্রাক্তন বিধায়ক গোপাল শেঠ, বনগাঁ শহর তৃণমূল সভাপতি শঙ্কর আঢ্য প্রমুখ। হাজার খানেক তৃণমূল কর্মী এসেছিলেন এ দিন।
শ্লীলতাহানির অভিযোগে ধৃত। বাড়িতে ঢুকে এক বিবাহিত মহিলার শ্লীলতাহানির অভিযোগে প্রতিবেশী এক যুবককে গ্রেফতার করল পুলিশ। বৃহস্পতিবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে বাগদার সাগরপুর গ্রামে। সে সময়ে বাড়িতে ছিলেন না মহিলার স্বামী। পুলিশ জানায়, ধৃত যুবকের নাম প্রকাশ দাস। সে ওই মহিলাকে প্রায়ই উত্ত্যক্ত করত বলে অভিযোগ। এমনকী, বিয়ের প্রস্তাবও দিয়েছিল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy