পাঁচ বছরের মেয়ে কোলে, এই অবস্থায় বাড়ির বাথরুম থেকে এক মহিলার দগ্ধ দেহ মিলল চন্দননগরের পালপাড়া বিবিরহাট অঞ্চল থেকে। মঙ্গলবার বিকেলের ঘটনা। মৃতদের নাম সোমা ভড় (৩৩) এবং সময়িতা। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন লাগিয়ে মেয়েকে নিয়ে আত্মঘাতী হন সোমাদেবী। বাথরুম থেকে পুলিশ একটি কেরোসিনের জ্যারিকেন এবং দেশলাই বাক্স উদ্ধার করেছে।
তবে, কী কারণে ওই বধূ মেয়েকে নিয়ে আত্মঘাতী হলেন, সে ব্যাপারে পুলিশ নিশ্চিত ভাবে কিছু জানাতে পারেনি। তারা জানায়, সব দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে। দেহটি ময়না-তদন্তের জন্য চুঁচুড়া ইমামবাড়া হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এই মৃত্যু নিয়ে অন্ধকারে সোমাদেবীর পরিবারের লোকজনও। সোমাদেবীর স্বামী সুমিতবাবু বলেন, “কেন এমন হল বুঝতে পারছি না। কখনও ওর সঙ্গে তো কোনও গোলমাল হয়নি। অশান্তিও ছিল না।”
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সুমিতবাবুদের বাড়ির পাশেই একটি আবাসন তৈরি হচ্ছে। এ দিন দুপুরে ওই আবাসনে কর্মরত শ্রমিকেরা সুমিতবাবুর বাড়ির একতলার বাথরুমের জানলা দিয়ে ধোঁয়া বেরোতে দেখে মনে করেন, আগুন লেগেছে। তাঁরা এসে ওই বাড়িতে ডাকাডাকি করেন। কলকাতার একটি বেসরকারি সংস্থার কর্মী সুমিতবাবু সেই সময়ে বাড়িতে ছিলেন না। শ্রমিকদের ডাকাডাকিতে তাঁর বাবা কান্তিবাবু ও মা পদ্মাদেবী বেরিয়ে আসেন। তাঁরাও বাথরুম থেকে ধোঁয়া বেরোতে দেখে পুত্রবধূর নাম ধরে ডাকেন। সাড়া পাননি। চেঁচামেচিতে পড়শিরাও চলে আসেন। সকলে মিলে বাথরুমের দরজা ভেঙে ঢুকে সোমাদেবী ও তাঁর মেয়েকে দগ্ধ অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন। পাশে ছিল দু’বালতি ভর্তি জলও। খবর দেওয়া হয় পুলিশে। সোমাদেবীর বাপেরবাড়ি হুগলিঘাট অঞ্চলে। সেখানেও খবর পাঠানো হয়। স্থানীয় বাসিন্দা দিলীপ চট্টোপাধ্যায় বলেন, “২০ বছর ধরে ওঁদের দেখছি। এ ভাবে মৃত্যু মেনে নিতে পারছি না। ওদের সংসারে কখনও অশান্তি দেখিনি। শিশুটির জন্য কষ্ট হচ্ছে।”
—নিজস্ব চিত্র।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy