ভুয়ো চেক দিয়ে প্রতারণার অভিযোগে গ্রেফতার করা হল তিন ছাত্রকে।
সহজ শর্তে বেসরকারি বিমা সংস্থার ঋণ দ্রুত মঞ্জুর করানোর প্রতিশ্রুতি দিয়ে গত ১ মার্চ ফোন এসেছিল শ্রীরামপুরের মুখার্জিপাড়ার বাসিন্দা প্রবীরকুমার দত্তের মোবাইলে। প্রবীরবাবু উৎসাহ দেখানোয় গত ৫ মার্চ ওই তিন যুবক তাঁর বাড়িতে আসে। পুলিশকে প্রবীরবাবু জানিয়েছেন, এক জন নিজের পরিচয় দিয়েছিল বিমা সংস্থার আধিকারিক হিসাবে। যুবকদের কথা মতো ঋণ মঞ্জুরের শর্ত হিসাবে ২৫ হাজার টাকার চেক দেন প্রবীরবাবু। ফিক্সড ডিপোজিটের জন্য নগদ ২৭ হাজার টাকাও দেন। ৯ মার্চ তাঁকে ফোনে জানানো হয়, ৫ লক্ষ টাকা ঋণ মঞ্জুর হয়েছে। ওই দিনই তাঁর বাড়িতে এসে তিন জন চেক দিয়ে যায়। দ্রুত এত টাকা মঞ্জুর করে দেওয়ার কমিশন হিসাবে আরও ১০ হাজার টাকা চেয়ে নেয়।
পরদিনই সকালে ফের ওই যুবকদের ফোন আসে। এ বার জানানো হয়, কমিশন বাবদ প্রবীরবাবু যে নগদ ১০ হাজার টাকা দিয়েছিলেন, সেই নোটগুলি জাল। তিনি যেন আরও ১০ হাজার টাকার ব্যবস্থা করেন। প্রদীপবাবুর সন্দেহ হওয়ায় ৫ লক্ষ টাকার চেকটি খুঁটিয়ে দেখেন তিনি। বোঝা যায়, সেটি জাল। মঙ্গলবার দুপুরে তিন যুবক একটি গাড়িতে প্রদীপবাবুর বাড়িতে আসে টাকা নিতে। তাদের বাড়িতে আটকে রেখে পুলিশে খবর দেন গৃহকর্তা। পুলিশ এসে গ্রেফতার করে সকলকে। ধৃতদের এ দিনই শ্রীরামপুর আদালতে তোলা হলে বিচারক এক যুবককে তিন দিন পুলিশি হাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন। বাকিদের পাঠানো হয়েছে ১৪ দিনের জেলহাজতে।
তদন্তকারী অফিসারেরা জানতে পেরেছেন, কেষ্টপুরের রবীন্দ্রপল্লির বাসিন্দা এক যুবক পড়ে সল্টলেকের সেক্টর ফাইভের একটি বেসরকারি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে। একটি কলসেন্টারও চালায় সে। জালিয়াতির ফন্দি তারই বলে অনুমান পুলিশের। ওই একই কলেজে পড়ে কেষ্টপুরের অন্য এক তরুণ। সে আবার কাজ করে ওই কলসেন্টারটিতেই। অন্য জন দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র। তারও বাড়ি বিধাননগর এলাকায়। পুলিশের দাবি, প্রত্যেকেই সচ্ছ্বল পরিবারের। বাড়তি রোজগারের লোভেই জালিয়াতিতে জড়িয়ে পড়েছে। এর আগেও তারা এ ধরনের কোনও অপরাধ করেছিল কিনা, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। চক্রে অন্য কেউ জড়িত কিনা, তারও খোঁজ চলছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy