ফাইল চিত্র।
ভারতের আকাশে বিমান পরিবহণের নিয়ন্ত্রক সংস্থা ডিরেক্টরেট জেনারেল অব সিভিল এভিয়েশন (ডিজিসিএ) মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিমান বিভ্রাটের তদন্তে নামছে। শনিবার রাজ্যের মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী ই-মেল করে কলকাতা বিমানবন্দরের অধিকর্তা সি পট্টভিকে ওই তদন্ত করার অনুরোধ করেছেন। পট্টভি এ দিন ফোনে বলেন, “এই ধরনের তদন্ত ডিজিসিএ করে। আমরা সেই চিঠি ডিজিসিএ-কে পাঠিয়ে দিয়েছি।”
শুক্রবার বারাণসী থেকে ভাড়া নেওয়া ব্যক্তিগত বিমানে কলকাতায় ফেরার সময়ে মাঝ আকাশে হঠাৎ দুর্বিপাকে পড়েন মুখ্যমন্ত্রী। ছোট বেসরকারি ভাড়া নেওয়া বিমানটি সাত হাজার ফুট থেকে দু’হাজার ফুটে নেমে আসে। ঘটনায় মমতার কোমরে জোর ব্যথা লাগে। আঘাত পান বুকেও। বিমানবন্দর সূত্রের খবর, ডিজিসিএ ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় গুরুত্বপূর্ণ অন্যান্য নথি জোগাড় করতে শুরু করেছে। এটিসি-র কাছে পাইলটের কথোপকথন ‘টেপ ট্রান্সস্ক্রিপ্ট’-এ রেকর্ড করা থাকে। সেই রেকর্ডেড বয়ান নিতে পারে ডিজিসিএ। এ ছাড়াও সরাসরি পাইলটের সঙ্গে কথা বলতে পারে ডিজিসিএ। পাইলট শুক্রবার যে রিপোর্ট জমা দিয়েছেন, সেখানে জানিয়েছেন, কলকাতা বিমানবন্দর থেকে ৫০ কিলোমিটার দূরে উত্তর-পশ্চিম আকাশে তিনি যখন সাত হাজার ফুট উচ্চতা থেকে ছয় হাজার ফুটে নামছিলেন, তখন আচমকাই সামনে ঝঞ্ঝাপূর্ণ মেঘ দেখতে পান। তা তিনি কলকাতার এটিসি-কে জানান। এটিসি তাঁকে দু হাজার ফুট উচ্চতায় নেমে আসতে বলে। তিনি সেই মতো নেমে আসেন।
একটি সূত্রের দাবি, শুক্রবার নামার সময়ে মুখ্যমন্ত্রীর বিমানের সামনে আচমকাই অন্য বিমান চলে আসারও অভিযোগ উঠেছে। তবে পাইলটের রিপোর্টে দ্বিতীয় কোনও বিমানের অস্তিত্ব ছিল কিনা তা জানা যায়নি। নবান্ন সূত্রের খবর, আগামী মঙ্গলবারের মধ্যে তদন্ত শেষ করে তা রাজ্যের কাছে জমা দেওয়ার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। শুক্রবার ঠিক কী ঘটেছিল, মূলত তা-ই জানতে চাওয়া হয়েছে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের কাছে। কলকাতায় নামার মুখে বিমানটি ‘এয়ার পকেট’-এ পড়েছিল কিনা, ওই বিমানের খুব কাছে অন্য কোনও বিমান এসে পড়েছিল কি না। তাও জানতে চাওয়া হয়েছে। বিমানবন্দর পরিবহণের বিশেষজ্ঞদের কথায়, আচমকা ঝঞ্ঝার মুখে এ ভাবে অনেকটা নীচে নেমে আসতে হয় বিমানকে। কখনও ‘এয়ার পকেটে’ পড়েও নীচে নেমে আসে। এই ধরনের ঘটনায় ডিজিসিএ তদন্তও করে না, যদি না এ নিয়ে নির্দিষ্ট করে কোনও অভিযোগ জমা পড়ে। শুক্রবারের ঘটনায় অভিযোগ জমা পড়ায় তদন্তে নেমেছে ডিজিসিএ।
বিষয়টি নিয়ে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, “এই ধরনের ঘটনা মুখ্যমন্ত্রীর ক্ষেত্রে হলে সেটা নিশ্চয়ই খুব গুরুত্বপূর্ণ। ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করি, উনি সুস্থ থাকুন। তবে সব বিষয়ে চক্রান্তের ভূত দেখা বা সব বিষয় নিয়ে রাজনীতি করা, এটা মনে হয় ঠিক নয়। এটা এক ধরনের মানসিক সমস্যা।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy