মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
ডেউচা-পাঁচামি খনি থেকে কয়লা উত্তোলনের ‘চূড়ান্ত’ চুক্তি সই হতে পারে শীঘ্রই। কিন্তু এলাকার বাসিন্দাদের পূর্ণ আস্থা অর্জনের আগে রাজ্য সরকার এই প্রকল্প নিয়ে তাড়াহুড়ো করবে না বলে বুধবার জানান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
মুখ্যমন্ত্রী এ দিন নবান্নে বলেন, ‘‘এখনই কাজ শুরু করছি না। মানুষের আস্থা অর্জন করে কাজ করতে হবে। আদিবাসী-সহ সকলের সঙ্গে আমি নিজে কথা বলব। প্রশাসনও কথা বলবে। সেই জন্য সময় নিচ্ছি। কারও ভয় বা চিন্তার কারণ নেই। পরিবারগুলির দায়িত্ব আমাদের। তাদের পুনর্বাসন, জীবন, জীবিকার ব্যবস্থা করে তবেই কাজ শুরু করব।’’
ওই খনিতে পশ্চিমবঙ্গ-সহ ছ’টি রাজ্যের কয়লা তোলার কথা ছিল। অন্য রাজ্যগুলি আগ্রহ না-দেখানোয় ব্লকটির দায়িত্ব পেয়েছে শুধু বাংলাই। আগামী সপ্তাহে কেন্দ্রের সঙ্গে রাজ্যের ‘মউ’ বা সমঝোতা চুক্তি সই করার কথা। ওই খনিতে ২০০ মিলিয়ন টনের বেশি কয়লা আছে, যা রাজ্যের চাহিদা মেটানোর পক্ষে যথেষ্ট। ওই কয়লা ব্লক প্রকল্প ১১২২২.৫ একর জমিতে গড়ে ওঠার কথা। তার প্রায় ২০০০ একরই খাস। রায়ত জমি প্রায় ৯০০০ একর। এ ছাড়া রয়েছে বনাঞ্চল।
মুখ্যমন্ত্রী জানান, ১৯৯১ সালের তথ্য অনুযায়ী ওই এলাকায় প্রায় চার হাজার মানুষের বাস। পরিবারের আছে ২৮৯টি। এই জনসংখ্যার ৪০% আদিবাসী। এত দিনে জনসংখ্যা অনেক বেড়েছে। বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে তাঁদের জন্য বিকল্প ব্যবস্থা করতে সময় লাগবে। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘প্রকল্পটি হলে ১০০ বছর বাংলা এবং গোটা দেশে কয়লার অভাব হবে না। প্রকল্প রূপায়ণে পাঁচ বছর লাগবে। লক্ষাধিক চাকরি হবে প্রকল্পটি ঘিরে।’’
ডেউচার কয়লা পেলে বীরভূম-সহ দক্ষিণবঙ্গের অর্থনীতির চিত্রটাই বদলে যাবে বলে বিদ্যুৎকর্তাদের আশা। কিন্তু মোরাম-পাথরের গভীর স্তরের নীচে জমে থাকা কয়লা তোলা কতটা সম্ভব, তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী জানান, মুখ্যসচিবের নেতৃত্বে একটি কমিটি পরিস্থিতি খতিয়ে দেখবে। জেলাশাসকের নেতৃত্বেও একটি কমিটি হবে। বিশ্বমানের উপদেষ্টাদের কমিটিই স্থির করবে, কোন ধরনের সংস্থাকে দিয়ে কয়লা উত্তোলন সম্ভব হবে। দূষণ নিয়ন্ত্রণে বীরভূমে পৃথক একটি কার্যালয় হবে। দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ ১০০ কোটি টাকা দেবে রাজ্য সরকারকে। তার মধ্যে ৫০ কোটি টাকা কেন্দ্রে জমা রাখবে রাজ্য। পরে তা ফেরত পাওয়া যাবে। প্রকল্পের প্রভাব পরিবেশে কতটা পড়বে, সেই বিষয়ে পৃথক সমীক্ষা করানো হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy