গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।
বিরোধীদের প্রশ্নের জবাব দিল তৃণমূল। করোনা মোকাবিলায় রাজ্য সরকারের ভূমিকা নিয়ে নানা প্রশ্ন তুলছে রাজ্যের বিরোধী দলগুলি। শাসক দলের তরফ থেকে শুক্রবার সে সবের জবাব দিলেন ডেরেক ও’ব্রায়েন। ভিডিয়ো প্রকাশ করে একে একে ৭টি পয়েন্ট তুলে ধরে বিরোধীদের অভিযোগ খণ্ডন করলেন তৃণমূলের রাজ্যসভার দলনেতা ডেরেক। সে ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়াতেও শেয়ারও করলেন।
রাজ্যে পর্যাপ্ত টেস্টিং কিট থাকা সত্ত্বেও কোভিড-১৯ টেস্টের সংখ্যা কম বলে অভিযোগ করছিল বিজেপি, কংগ্রেস এবং বামেরা। এ দিন ডেরেক যে ভিডিয়ো প্রকাশ করেছেন, তাতে প্রথম কয়েকটি পয়েন্টে ওই অভিযোগই তিনি খণ্ডন করেছেন ভাগে ভাগে। ডেরেক ভিডিয়োয় প্রথমেই বলেছেন— রাজ্য সরকার নিজে টেস্টিং কিট অর্ডার দিতে পারে না। অর্ডার দিতে পারে আইসিএমআর এবং কিট আমদানি করার পরে আইসিএমআর-ই তা বিভিন্ন রাজ্যে পাঠায়। মার্চ মাসের শেষ পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গ কিট পেয়েছিল মাত্র ৪০টি— দাবি ডেরেকের। তাঁর কথায়, ‘‘যে সব রাজ্যে সংক্রমণ বেশি, আইসিএমআর সেখনেই আগে বেশি কিট পাঠাচ্ছিল এবং পশ্চিমবঙ্গ সে তালিকায় ছিল না।’’
তৃণমূলের রাজ্যসভার দলনেতা এ দিনের ভিডিয়োয় আইসিএমআর-এর আরও একটি নির্দেশিকার কথাও উল্লেখ করেছেন। তিনি জানিয়েছেন যে, আইসিএমআর-এর নির্দেশ ছিল, যাঁদের মধ্যে করোনার উপসর্গ দেখা যাচ্ছে, শুধু তাঁদেরই টেস্ট করা যাবে, যাঁদের মধ্যে উপসর্গ নেই, তাঁদের টেস্ট যেন না করা হয়। ডেরেকের কথায়, ‘‘পশ্চিমবঙ্গ সরকার আইসিএমআর-এর নির্দেশই মেনে চলছিল। পরে আইসিএমআর নির্দেশ বদলেছে। উপসর্গ যাঁদের নেই, তাঁদেরও টেস্ট করা যাবে বলে তারা জানিয়েছেন। পশ্চিমবঙ্গ সরকারও তাই এ বার সেই অনুযায়ী কাজ করতে শুরু করেছেন।’’ অর্থাৎ রাজ্যে টেস্ট কম হয়েছে বলে যদি কেউ অভিযোগ করেন, তা হলে সে দায় যে রাজ্য সরকারের নয়, সে কথা ডেরেক বুঝিয়ে দিতে চেয়েছেন। আইসিএমআর যখন যে ভাবে বলছে, রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতর তখন সে ভাবেই কাজ করছে বলে তৃণমূলের রাজ্যসভার দলনেতা জানিয়েছেন।
আপনার রুটিন থেকে মাত্র পাঁচ মিনিট বের করে এটা শুনুন #New pic.twitter.com/ecCH1CfDXC
— Derek O'Brien | ডেরেক ও'ব্রায়েন (@derekobrienmp) April 17, 2020
ডেরেক এ দিন আরও জানিয়েছেন যে, এ রাজ্যে আগে কোভিড-১৯ পরীক্ষার জন্য দুটো ল্যাব ছিল। পরে আরও পাঁচটা ল্যাবকে কেন্দ্র অনুমোদন দিয়েছে। তাই এখন মোট সাতটা ল্যাবে পরীক্ষার ব্যবস্থা রয়েছে। রাজ্য সরকার অত্যন্ত দ্রুত করোনা মোকাবিলায় আরও নানা প্রস্তুতি নিয়েছে বলে তিনি জানিয়েছেন। তাঁর দেওয়া হিসেব অনুযায়ী পশ্চিমবঙ্গে এখন পিপিই কিট রয়েছে ৩ লক্ষ ২৫ হাজার, এন-৯৫ মাস্ক রয়েছে ২ লক্ষ ১৭ হাজার, অন্যান্য মাস্ক রয়েছে ১৫ লক্ষ ৪০ হাজার, থার্মাল গান রয়েছে ৫ হাজার, গ্লাভস রয়েছে ৬ লক্ষ ৭৫ হাজার।
আরও পড়ুন: কলকাতা-হাওড়ায় সশস্ত্র পুলিশকে রাস্তায় নামানোর নির্দেশ মুখ্যমন্ত্রীর
নাম না করে বিজেপি-কে এ দিন আক্রমণ করেছেন ডেরেক ও’ব্রায়েন। প্রধানমন্ত্রীও যে এই সময়ে রাজনীতি করতে বারণ করেছেন, সে কথা মনে করিয়ে দিয়ে ডেরেক বলেছেন, ‘‘আমরা কোনও রাজনীতি করছি না, কারণ আমাদের লড়াই হচ্ছে করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে। কিন্তু বাংলায় একটা দল কিন্তু লড়াই করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে করছে না। তারা লড়ছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে।’’ ডেরেকের কথায়, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে ভাবে আমাদের পথ দেখাচ্ছেন, তাতে আমরা গর্বিত।’’
আরও পড়ুন: রাজারহাটে মৃত্যু কোভিড আক্রান্ত ক্যানসার রোগীর, আতঙ্ক হাসপাতালে
(অভূতপূর্ব পরিস্থিতি। স্বভাবতই আপনি নানান ঘটনার সাক্ষী। শেয়ার করুন আমাদের। ঘটনার বিবরণ, ছবি, ভিডিয়ো আমাদের ইমেলে পাঠিয়ে দিন, feedback@abpdigital.in ঠিকানায়। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেন। আপনার পাঠানো খবরটি বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।)
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy