—ফাইল চিত্র।
কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ে এডুকেশন বিভাগের ডিন নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগ তুলে পদত্যাগ করেছেন বিভাগীয় প্রধান দিব্যেন্দু ভট্টাচার্য। তাঁর অভিযোগ, দেবপ্রসাদ সিকদার নামের যে অধ্যাপককে ডিন নির্বাচন করা হয়েছে, তাঁর বিরুদ্ধে অন্যের গবেষণাপত্র হুবহু টুকে জমা দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে।
গত শুক্রবার ই-মেল করে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মানস সান্যালকে পদত্যাগপত্র পাঠিয়েছেন দিব্যেন্দুবাবু। নিজের বিভাগের গবেষণা কমিটির চেয়ারম্যান এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের সমবায় সমিতিরও চেয়ারম্যান ছিলেন তিনি। সেই সব পদ থেকেই তিনি পদত্যাগ করেছেন। দিব্যেন্দুবাবু বলেন, “অন্যের গবেষণাপত্র ১০০ শতাংশ টুকে নিজের নামে জমা দেন যে ব্যক্তি, তাঁর নেতৃত্বে কাজ করতে আমার অসুবিধা আছে। আমি নীতিগতভাবে এটা মানতে না-পেরে পদত্যাগ করেছি। শুধু পড়ানোর কাজ নিয়েই থাকব।”
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গিয়েছে, পিএইচডি-র জন্য ১৯৯৯ সালের মার্চে নিজের গবেষণাপত্র জমা দেন দেবপ্রসাদবাবু। অভিযোগ ওঠে, ১৯৯৫ সালে স্বদেশরঞ্জন সামন্ত যে গবেষণাপত্র জমা দিয়েছিলেন সেটাই আগাগোড়া টুকে জমা দিয়েছেন দেবপ্রসাদবাবু। ২০০২-’০৩ সাল থেকে বিষয়টি নিয়ে জলঘোলা শুরু হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ে অভিযোগও হয়। সেই সময় উপাচার্য ছিলেন রতনলাল হাংলু। তিনি একটি তিন সদস্যের কমিটি তৈরি করে দেন। বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই কমিটি দেবপ্রসাদবাবুর বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপের সুপারিশ করেছিল। বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে খবর, হাংলু চলে যাওয়ার পরে কলেজের কর্মসমিতির বৈঠকে সেই সুপারিশ কার্যকর না করার সিদ্ধান্ত হয়। এখন শিক্ষা দফতরের তিন সদস্যের কমিটি আবেদনপত্র খতিয়ে দেখে ডিন নিয়োগ করেছে। একই পদের জন্য আবেদন করেছিলেন দিব্যেন্দুবাবুও।
দেবপ্রসাদবাবুর বিরুদ্ধে শেষমেশ বিশ্ববিদ্যালয় তো কোনও পদক্ষেপ করেনি! দিব্যেন্দুবাবু বলেন, “তাতে কি অভিযোগ মিথ্যা হয়ে যায়? গবেষণাপত্র দু’টি তো রাখা আছে।” এই বিষয়ে দেবপ্রসাদবাবুকে ফোন করা হলে তিনি ‘শুনতে পাচ্ছি না’ বলে ফোন কেটে দেন। পরে হোয়াটসঅ্যাপে তাঁকে বিষয়টি জানানো হলেও তিনি প্রতিক্রিয়া জানাননি। স্বদেশরঞ্জনবাবু দেবপ্রসাদবাবুর আত্মীয়। তিনি বলেন, “এটা তো ডিএসসি নয়। পিএইচডি-র গবেষণাপত্রে মিল থাকতে পারে।” তা হলে গবেষণাপত্রের সূত্রে তাঁর নাম নেই কেন? স্বদেশরঞ্জনবাবু বলেন, “নাম না-দেওয়াটা হয়তো ভুল হয়েছে।” বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মানসবাবু বলেন, “নিয়োগ তো সার্চ কমিটি করেছে। অভিযোগের বিষয়টি কী ছিল, তার পরিণতি কী হয়েছে, তা আমি সোমবার খতিয়ে দেখে বলতে পারব।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy