ফাইল চিত্র
‘স্পেশাল গ্রাউন্ড’ বা বিশেষ কারণে বদলির জন্য আবেদন করেছেন বছর দুয়েক আগে। জেলা স্কুল পরিদর্শক বদলির প্রয়োজনীয় কাগজপত্র শিক্ষা দফতরে পাঠিয়েও দিয়েছেন। তবু স্কুল সার্ভিস কমিশনের (এসএসসি) কাছ থেকে বদলির সুপারিশপত্র আসছে না। আসছে না মধ্যশিক্ষা পর্ষদের নিয়োগপত্রও। ফলে দু’বছর ধরে তাঁদের বদলি প্রক্রিয়া থমকে আছে বলে বেশ কিছু শিক্ষকে-শিক্ষিকার অভিযোগ। ভুক্তভোগী শিক্ষক-শিক্ষিকাদের ক্ষোভের পাশাপাশি কয়েকটি শিক্ষক সংগঠনেরও প্রশ্ন, বদলি তো বিশেষ কারণে। তা আটকে থাকবে কেন? দীর্ঘদিন সেটা আটকে থাকলে বদলিপ্রার্থীদের সমস্যার সুরাহাই বা হবে কী ভাবে?
দক্ষিণ দিনাজপুরের একটি স্কুলে শিক্ষকতা করেন কলকাতার বাসিন্দা সুদীপ্তা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি জানান, শারীরিক অসুস্থতার দরুন তিনি কলকাতার কোনও একটি স্কুলে বিশেষ বদলি চেয়ে আবেদন করেছিলেন ২০১৭ সালে। বিকাশ ভবন থেকে তাঁর সেই বদলির আবেদন গ্রহণ করা হয়েছিল। সুদীপ্তাদেবী জানান, আগেই বিশেষ বদলির আবেদন করেছেন বলে তিনি আর উৎসশ্রী পোর্টাল চালু হওয়ার পরে সেখানে আর বদলির আবেদন করেননি। যেখানে এখন শিক্ষকতা করছেন, সেই স্কুলে আপাতত তাঁর বিষয় পড়ানোর একমাত্র শিক্ষিকা তিনিই। এই ধরনের ‘সিঙ্গল টিচার’ (একক শিক্ষক বা শিক্ষিকা) উৎসশ্রী পোর্টালের মাধ্যমে বদলির আবেদন করলেও তা ফিরে আসছে।
কয়েকটি শিক্ষক সংগঠন জানাচ্ছে, সুদীপ্তাদেবী একা ভুক্তভোগী নন। তাঁর মতো বহু শিক্ষক-শিক্ষিকারই বিশেষ কারণে বদলির আবেদন কয়েক বছর ধরে আটকে আছে। শিক্ষক, শিক্ষাকর্মী, শিক্ষানুরাগী ঐক্য মঞ্চের রাজ্য সম্পাদক কিঙ্কর অধিকারী বলেন, ‘‘বদলির প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার পরে বিধানসভা নির্বাচন চলে আসায় নির্বাচনী আচরণবিধির জন্য তা থেমে যায়। ভোট শেষ হয়ে গিয়েছে বেশ কয়েক মাস হল। ওঁদের বদলির বাকি থাকা প্রক্রিয়া শেষ হবে না কেন?’’
শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু বলেন, ‘‘যাঁরা উৎসশ্রী পোর্টালে আগেই বদলির জন্য আবেদন করেছিলেন, আইন মেনে সহানুভূতির সঙ্গে তাঁদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। স্কুলের সিঙ্গল টিচারদের বদলি না-পাওয়ার সমস্যা কী ভাবে মেটানো যায়, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy