ডিএ মামলায় হাই কোর্টে ফের ধাক্কা খেল রাজ্য সরকার। ফাইল চিত্র।
রাজ্য সরকার ‘বাধ্য হবে’ সরকারি কর্মীদের মহার্ঘ ভাতা-সহ সমস্ত বকেয়া মিটিয়ে দিতে। বৃহস্পতিবার ডিএ মামলা নিয়ে রায় পুনর্বিবেচনার আর্জি খারিজ করেছে কলকাতা হাই কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। ফলে এই মামলায় ফের ধাক্কা খেল রাজ্য সরকার।
আদালত ২০ মে-র নির্দেশ বহাল রাখার পরই কনফেডারেশন অফ স্টেট গভর্নমেন্ট এমপ্লয়িজ-এর সভাপতি শ্যামলকুমার মিত্র বলেন, “আমরা জিতব। কর্মচারীরা জিতবে। সরকারি কর্মীদের সমস্ত পাওনা, মহার্ঘ ভাতা, পঞ্চম বেতন কমিশনের ৩৪ শতাংশ, ষষ্ঠ বেতন কমিশনের আওতায় ৩৫ শতাংশ মহার্ঘ ভাতা বকেয়া-সহ মিটিয়ে দিতে বাধ্য হবে রাজ্য সরকার।”
২০ মে হাই কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ নির্দেশ দিয়েছিল, তিন মাসের মধ্যে বকেয়া মহার্ঘ ভাতা মেটাতে হবে রাজ্য সরকারকে। যার জেরে রাজ্যের সরকারি কর্মীদের ৩১ শতাংশ হারে ডিএ দিতে হবে। এর পরই রাজ্য সরকার আদালতের কাছে রায় পুনর্বিবেচনার আর্জি জানায়। কিন্তু বৃহস্পতিবার তা খারিজ করে হয়ে যাওয়ায় আবারও ধাক্কা খেল রাজ্য।
কনফেডারেশন অফ স্টেট গভর্নমেন্ট এমপ্লয়িজ-এর সভাপতি বলেন, “গত ২০ মে আদালত রায় দেওয়ার পরেও আমরা রাজ্য সরকারের কাছে চিঠি দিয়ে বিনীত ভাবে বলেছিলাম, আমরা সব রকম ভাবে সহযোগিতা করতে রাজি, আপনারা ডিএ-র রায় কার্যকর করুন। কিন্তু দুর্ভাগ্য, রাজ্য সরকার কর্মীদের সহযোগিতার মনোভাব বোঝে না। তাই এর পর থেকে আমরা রাজ্য সরকারের সঙ্গে সার্বিক বিরোধিতার নীতিতে যাচ্ছি। সরকারের সঙ্গে কোনও রকম সহযোগিতা করব না।”
শ্যামলকুমারের স্পষ্ট হুঁশিয়ারি, শুধু আইনি লড়াই নয়। এর পর তাঁরা রাস্তায় নামবেন। সরকারের কাছ থেকে বকেয়া আদায় করেই ছাড়বেন। তাঁর কথায়, “সব ডিএ দেওয়া হয়ে গিয়েছে, এ কথা আদালতে দাবি করেছিলেন রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল (এজি)। কিন্তু এটা সম্পূর্ণ মিথ্যা। আমরা আদালতে এ বিষয়ে সমস্ত তথ্য দিয়েছি।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy