সময়ে কাজ সেরে সময়ে বেরোন, এটাই হোক কাজের নীতি। —নিজস্ব চিত্র।
হাইকোর্টের নির্দেশে মহার্ঘ ভাতা (ডিএ) সংক্রান্ত একটি মামলার শুনানি চলছে স্টেট অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইবুনাল (স্যাট)-এ। সেই মামলা ছিল মূলত কংগ্রেসের কর্মী সংগঠন ‘কনফেডারেশন’-এরকরা। প্রায় একই ধরনের মামলা করেছিল বিজেপি-র কর্মী সংগঠন ‘সরকারি কর্মচারী পরিষদ’ও। এবার স্যাটে সেই মামলারও শুনানি শুরু হল।
একই এজলাসে দুই মামলা উঠলেও শুনানি চলছে আলাদা ভাবে। কনফেডারেশনের মামলার মতোই বিজেপির সংগঠনের মামলাতেও সরকার ‘কনটেস্ট’ করবে বলে জানিয়ে দিয়েছে রাজ্য সরকার। মঙ্গলবার শুনানির পর বেঞ্চের নির্দেশ, আগামী ছ’মাসের মধ্যে দু’পক্ষকেই হলফনামা দিয়ে নিজেদের বক্তব্য জানাতে হবে।
কেন্দ্রীয় হারে ডিএ-র দাবিতে স্যাটে মামলা দায়ের করে কনফেডারেশন। মামলাকারী আরও একাধিক পক্ষকে একসঙ্গে জুড়ে সেই মামলা হাইকোর্টে গড়ায়। হাইকোর্ট সম্প্রতি জানিয়ে দেয়, ‘‘ডিএ দয়ার দান নয়, সরকারি কর্মীদের অধিকার।’’ তবে ডিএ-র হার এবং অন্যান্য বিষয়ে স্যাটেই শুনানির মাধ্যমে ঠিক করতে বলে উচ্চ আদালত। সেই মামলার শুনানি শুরু হয়েছে বিচারপতি আর কে বাগ এবং সুবেশ দাশের বেঞ্চে।
আরও পড়ুন: ৩ বিজেপি কর্মী খুনে হলফনামা তলব রাজ্যের
অন্যদিকে, কনফেডারেশনের মতোই একটি মামলা করে সরকারি কর্মচারী পরিষদ। কিন্তু মামলা হাইকোর্টের বিচারাধীন থাকায় এতদিন সেই মামলার শুনানি হয়নি। এবার মূল মামলা স্যাটে ফিরে আসার পর বিজেপির এই মামলার বিচার প্রক্রিয়াও শুরু হয়েছে। শুনানি শুরু হয়েছে বিচারপতি বাগের বেঞ্চেই। মঙ্গলবার সেই মামলার শুনানিতেই রাজ্য সরকারের পক্ষের আইনজীবী জানিয়ে দিয়েছেন, মূল মামলার মতো কর্মচারী পরিষদের মামলাতেও তাঁরা কনটেস্ট করবেন। এরপর বিচারপতি নির্দেশ দেন, আগামী ছ’সপ্তাহের মধ্যে নিজেদের বক্তব্য হলফনামার আকারে জমা দিতে হবে সরকার পক্ষকে। সেই হলফনামা দেখে মামলাকারীদেরও আলাদা হলফনামা জমা দিতে হবে। আগামী ২২ নভেম্বর মামলার পরবর্তী শুনানি।
আরও পড়ুন: নির্ভয়ে সাক্ষ্য নিশ্চিত করুক রাজ্যই: কোর্ট
সরকারের এই সিদ্ধান্তের পর রাজ্য সরকারের ডিএ দেওয়ার সদিচ্ছা নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন সরকারি কর্মচারী পরিষদের আহ্বায়ক দেবাশিস শীল বলেন, ‘‘হাইকোর্ট বলে দিয়েছে ডিএ কর্মীদের অধিকার। কিন্তু কী হারে ডিএ দেওয়া হবে, কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের হারে দেওয়া হবে কিনা, বা কতবার দেওয়া হবে, সেসব বিষয় ঠিক করবে স্যাট। কিন্তু হাইকোর্ট বলার পরও রাজ্য সরকার যেভাবে কনটেস্ট করার কথা ঘোষণা করেছে, তাতে সরকারের সদিচ্ছা আছে বলে মনে হয় না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy