দিঘা এবং তার সংলগ্ন এলাকায় দ্রুত আবহাওয়ার অবনতি হচ্ছে। —নিজস্ব চিত্র।
ঘূর্ণিঝড় ‘ইয়াস’ আছড়ে পড়ার আগেই পূর্ব মেদিনীপুর জেলার দিঘা এবং তার সংলগ্ন এলাকায় দ্রুত আবহাওয়ার অবনতি হচ্ছে। পাল্লা দিয়ে বাড়ছে ভারী বৃষ্টি। সঙ্গে বাড়ছে ঝোড়ো হাওয়ার দাপট। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে আচমকাই পরিকল্পনা বদল করল জেলা প্রশাসন। মঙ্গলবার সকালের পরিবর্তে সোমবার রাতেই সমুদ্র উপকূলবর্তী গ্রামগুলিকে খালি করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে স্থানীয় প্রশাসনকে।
জেলা প্রশাসনের নির্দেশ পেতেই পরিস্থিতি সামলাতে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় ময়দানে নেমেছেন দিঘা এবং সমুদ্র উপকূলবর্তী এলাকার স্থানীয় প্রশাসনিক কর্তারা। সোমবার রাতেই যত দ্রুত সম্ভব সমুদ্র তীরবর্তী গ্রামগুলিকে খালি করে সেখানকার বাসিন্দাদের অপেক্ষাকৃত সুরক্ষিত ফ্লাড সেন্টার বা রিলিফ সেন্টারে তুলে আনতে তৎপরতা শুরু হয়েছে। রামনগর ১ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি শম্পা মহাপাত্র বলেন, “বুধবার ইয়াস আছড়ে পড়বে বলে সতর্কবার্তা ছিল। তাই মঙ্গলবার সকাল থেকে গ্রামবাসীদের সরিয়ে আনার কাজ শুরু করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছিল। সিদ্ধান্ত হয়েছিল যে, মঙ্গলবার বিকেলের মধ্যে গ্রামবাসীদের সরানোর কাজ শেষ হবে। কিছু কিছু এলাকার মানুষ ইতিমধ্যেই ফ্লাড সেন্টারে চলে এলেও সে সংখ্যাটা অত্যন্ত নগণ্য।”
তবে আবহাওয়ার অবনতি হওয়ায় দ্রুত সিদ্ধান্ত বদল করেছে জেলা প্রশাসন। সোমবার রাতে শম্পা বলেন, “কিছু ক্ষণ আগেই নির্দেশ এসেছে যে সোমবার রাতের মধ্যেই গ্রামগুলিকে খালি করাতে হবে। সে মতোই সকলে ঝাঁপিয়ে পড়েছেন।” তিনি আরও বলেন, “এক দিকে, জোরকদমে বৃষ্টি, অন্য দিকে, তার সঙ্গে বইছে ঝোড়ো হাওয়া। ফলে সমুদ্র তীরবর্তী এলাকাগুলি থেকে গ্রামবাসীদের বার করে আনতে চূড়ান্ত প্রতিবন্ধকতার মধ্যে দিয়ে কাজ করতে হচ্ছে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy