Advertisement
২২ নভেম্বর ২০২৪
Cyclone Sitrang

আসছে সিত্রাং! কলকাতায় বৃষ্টির জল যাতে না জমে, তার জন্য খোলা হল গঙ্গার সবক’টি লকগেট

সিত্রাঙের প্রভাবে কলকাতা-সহ রাজ্যের ৭ জেলায় সোম এবং মঙ্গলবার ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে মৌসম ভবন। টানা বৃষ্টির কথা মাথায় রেখেই জল জমা আটকাতে উদ্যোগী হয়েছে প্রশাসন।

সিত্রাঙের অপেক্ষায় প্রহর গুণছে শহর।

সিত্রাঙের অপেক্ষায় প্রহর গুণছে শহর। ফাইল চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৪ অক্টোবর ২০২২ ১৭:১০
Share: Save:

সিত্রাং-সঙ্কট এড়াতে গঙ্গার লকগেট খুলে দিল কলকাতা পুরসভা। ঘূর্ণিঝড় সিত্রাঙের দৌলতে শহরে ভারী বৃষ্টির আগাম সতর্কতা জারি করেছে আবহাওয়া দফতর। সোমবার রাত থেকে মঙ্গলবার পর্যন্ত সেই বৃষ্টি চলতে পারে বলে অনুমান। টানা বৃষ্টিতে যাতে শহরের রাস্তায় জল জমে মানুষ ভোগান্তির শিকার না হন, তাই আগে থেকেই ব্যবস্থা নিয়েছে প্রশাসন। গঙ্গার লকগেট খোলা থাকলে, জল দ্রুত সরবে বলে মনে করছেন পুরসভার বিপর্যয় মোকাবিলা বিশেষজ্ঞরা।

ঘূর্ণিঝড় সিত্রাঙের জন্য কলকাতায় ঘণ্টায় ৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত গতিবেগে দমকা হাওয়া বইতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে হাওয়া অফিস। সেই সঙ্গে ভারী বৃষ্টির হলুদ সতর্কতাও জারি করা হয়েছে। ঝড়বৃষ্টির এই পরিস্থিতি যে কোনও মুহূর্তে বিপজ্জনক হতে পারে আশঙ্কা করে ইতিমধ্যেই শহরের অত্যন্ত বিপজ্জনক বাড়িগুলি থেকে বাসিন্দাদের নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে পুরসভা। পাশাপাশি, বিপজ্জনক অবস্থায় থাকা বাড়িগুলির বাসিন্দাদেরও বাড়ি ছেড়ে অন্যত্র যেতে বলা হয়েছে। তবে যেহেতু কলকাতায় জমা জল একটি বড় সমস্যা, তাই পুরসভার তরফে রবিবার রাত থেকেই শুরু হয়েছে নিকাশি ব্যবস্থা পরিদর্শন অভিযান। শহরের নিকাশিনালা এবং ম্যানহোলগুলির মুখ কোথাও আটকে রয়েছে কি না, সেখান দিয়ে জল ঢুকতে পারছে কি না, তা খতিয়ে দেখার কাজও হয়েছে। তবে জমা জল নিকাশির ব্যবস্থা আরও নিশ্চিত করতে কলকাতা সংলগ্ন গঙ্গার সবক’টি লকগেটও খুলে দেওয়ার ব্যবস্থাও করেছে পুরপ্রশাসন।

এ ছাড়া ঝড়ে বিপদে পড়া শহরবাসী বা আশ্রয়হীনদের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে পুরসভার কমিউনিটি হল। খোলা হয়েছে ২৪ ঘণ্টার একটি কন্ট্রোল রুমও। রবিবারই কলকাতা পুরসভার মেয়র ফিরহাদ হাকিম জানিয়েছিলেন, ঘূর্ণিঝড় আমপানের সময়কার ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে এ বার সিত্রাঙের জন্য আরও ভাল ভাবে প্রস্তুতি নিয়েছে পুরসভা। ফিরহাদ জানান, আমপানের সময় ‘যথেষ্ট’ প্রস্তুতি নিয়েও ক্ষয়ক্ষতি এড়ানো যায়নি। কিন্তু এ বার আর সেই ভুল যাতে না হয় তার ব্যবস্থা করেছে পুরসভা। এমনকি, ঘূর্ণিঝড়ে গাছ পড়ার সম্ভাবনার কথা মাথায় রেখে প্রয়োজনীয় বৈদ্যুতিক কুঠারের ব্যবস্থাও রাখা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, সোমবার দুপুরেই সাংবাদিক বৈঠক করে কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দফতরের পূর্বাঞ্চলীয় অধিকর্তা সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, কলকাতাবাসীর সিত্রাং থেকে তেমন ভয়ের সম্ভাবনা নেই। যদিও আবহাওয়া দফতর এ-ও জানিয়েছিল যে, রাতের মধ্যেই সিত্রাঙের সাধারণ ঘূর্ণিঝড় থেকে প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে এবং বৃষ্টি হবে কলকাতাতেও।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy